—প্রতীকী চিত্র।
বছর ১৫ নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করার অপরাধে বাবাকে (ঘটনার সময় বয়স ৪২ বছর) দোষী সাব্যস্ত করে ৩৫ বছরের কারাবাসের সাজা ঘোষণা করলেন ঝাড়গ্রাম এডিজে সেকেন্ড কোর্টের বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়।
আদালত সূত্রে খবর, বছর পাঁচেক আগে মারা যান নির্যাতিতার। তার পর থেকে বাবা ও মেয়ে একই বাড়িতে থাকতেন। বাইরে কাজের সূত্রে থাকতেন দাদা। নির্যাতিতা ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল থানায় অভিযোগ জানান, ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বাড়িতে মদ্যপ অবস্থায় এসে বাবা প্রথমে খাবার খেতে চান। তাঁকে খাবার দেওয়া হয়। খাওয়ার পর শোওয়ার ঘরে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন বাবা। পরে সে গোটা ঘটনা পরিবারের বাকি সদস্যদের জানায়। এর পরেই নির্যাতিতাকে ভাঙাগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন ছিল নির্যাতিতা। ঘটনার দিনই অভিযোগ জানালে পুলিশ তার বাবাকে গ্রেফতার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (২)(এফ) এবং ৬ পকসো ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
সরকারি আইনজীবী জয়ন্ত রায় বলেন, ‘‘২০১৮ সালের ১৮ অগস্ট আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। ১৪ জন সাক্ষী দেন আদালতে। বিচারক ৩৫ বছরের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় সাজা ঘোষণার সময় মন্তব্য করেন, এটি একটি বিরলতম ঘটনা। অপরাধীর কঠিনতম শাস্তি দেওয়া উচিত।’’ অন্য দিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী সুরজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে।’’
ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘বাবার বিরুদ্ধে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করে। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের তরফে এই ধরনের ঘটনা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। তাড়াতাড়ি যাতে চার্জশিট দেওয়া হয়, তার চেষ্টাও করা হয়। পকসো ধারায় মামলা হলে সিনিয়ার অফিসার পর্যবেক্ষণ করেন। ওই মামলায় দোষীর সাজা ঘোষণা হয়েছে।’’