যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

গ্রামের পান বরজের ধারে সাত সকালে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় যুগলের দেহ উদ্ধার হল। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সবংয়ের ভেমুয়ার আমদা গোপালপুরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

গ্রামের পান বরজের ধারে সাত সকালে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় যুগলের দেহ উদ্ধার হল। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সবংয়ের ভেমুয়ার আমদা গোপালপুরে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম তন্ময় মাইতি (২২) ও সুচিত্রা মাইতি (২০)। একটি সবেদা গাছে গলায় একই দড়ির ফাঁসে ঝুলছিল ওই যুগলের দেহ। তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। সুচিত্রার বিয়ের পরেও সেই সম্পর্ক বজায় থাকায় দুই পরিবারে অশান্তি শুরু হয়েছিল। ঘটনা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তাঁরা আত্মঘাতী হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে ভেমুয়ার আমদা গোপালপুরের বাসিন্দা তন্ময়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দুবরাজপুরের সুচিত্রা। সেই সম্পর্ক মেনে নেয়নি সুচিত্রার পরিবার। বছর তিনেক আগে সুচিত্রার বিয়ে হয়ে যায়। তাঁর শ্বশুরবাড়িও আমদা গোপালপুরেই। স্বামী সুরজিৎ মাইতি বর্তমানে কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। তাঁদের একটি বছর দু’য়েকের পুত্র সন্তান রয়েছে। একই এলাকায় বাড়ি হওয়ার সুবাদে সম্প্রতি তন্ময়ের সঙ্গে সুচিত্রার ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল। সুচিত্রার শ্বশুরবাড়ি বিষয়টি জানতে পেরে তন্ময়কে সতর্ক করে। তন্ময়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করেন সুচিত্রার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। গ্রামে এই নিয়ে দু’বার সালিশি সভা হয়। তবে তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি।

Advertisement

এ দিন দেহ উদ্ধারের পরে ভেমুয়া থেকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তরুণ মিশ্র বলেন, “ওই যুবক ও তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক অনেক দিনের। সালিশ বসিয়ে সমাধান হয়নি। সম্পর্কে এমন জটিলতা থেকেই ওঁরা আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে হয়।”

তন্ময়ের বাবা শুভঙ্কর মাইতি বলেন, “আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়েটির সম্পর্ক ছিল। তবে ইদানীং আমার ছেলে ওই মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল না বলে জানতাম। সকালে খবর এল ওই মেয়েটির সঙ্গে একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছে।” ওই তরুণীর শাশুড়ি সবিতা মাইতির দাবি, “যখন অশান্তি হত তখন মনে হত দু’জনে সম্পর্ক রাখছে না। কয়েকদিন যেতেই ঘনিষ্ঠতা বাড়ত।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement