কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে মৃত দম্পতি সাঁকরাইলে

স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে অভিমানে কুয়োয় ঝাঁপ দিয়েছিলেন কৃষ্ণা গুচ্ছাইত (৪৫)। স্ত্রীকে বাঁচাতে কুয়োয় ঝাঁপ দেন কেদার গুচ্ছাইত (৫০)। সোমবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইল থানার আউশাবাঁধি গ্রামের ওই ঘটনায় দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে। পরে ঝাড়গ্রাম থেকে দমকল কর্মীরা গিয়ে কুয়ো থেকে ওই দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৫ ০০:৪৯
Share:

স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে অভিমানে কুয়োয় ঝাঁপ দিয়েছিলেন কৃষ্ণা গুচ্ছাইত (৪৫)। স্ত্রীকে বাঁচাতে কুয়োয় ঝাঁপ দেন কেদার গুচ্ছাইত (৫০)। সোমবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইল থানার আউশাবাঁধি গ্রামের ওই ঘটনায় দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে। পরে ঝাড়গ্রাম থেকে দমকল কর্মীরা গিয়ে কুয়ো থেকে ওই দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করেন। দেহ দু’টি ময়না তদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, আউশাবাঁধি গ্রামে ছেলে ও বৌমার সঙ্গে থাকতেন কেদারবাবু ও কৃষ্ণাদেবী। এ দিন সকালে পারিবারিক সমস্যা নিয়ে কেদারবাবুর সঙ্গে কৃষ্ণাদেবীর তুমুল কথা কাটাকাটি শুরু হয়। বচসা চলাকালীন আচমকা ছুটে গিয়ে বাড়ির কাছে একটি পরিত্যক্ত কুয়োয় ঝাঁপ দেন কৃষ্ণাদেবী। কেদারবাবুরও স্ত্রীকে বাঁচাতে কুয়োয় ঝাঁপ দেন। ঘটনাটি জানাজানি হতেই ছুটে আসেন পড়শিরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সাঁকরাইল ব্লকের জয়েন্ট বিডিও সুব্রত বল এবং সাঁকরাইল থানার পুলিশ কর্মীরা।

ওই দম্পতিকে উদ্ধার করার জন্য স্থানীয় দুই বাসিন্দা কুয়োয় নামেন। কিন্তু কুয়োর ভিতর তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা কোনও মতে ওই দুই গ্রামবাসীকে উদ্ধার করেন। পরে ঝাড়গ্রাম থেকে দমকল কর্মীরা গিয়ে কুয়ো থেকে ওই দম্পতির নিথর দেহ উদ্ধার করেন। এক গ্রামবাসীকে স্থানীয় ভাঙাগড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। অন্য জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement