জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে স্কুল চত্বরে।
রাজ্য সরকারের নির্দেশে স্কুলগুলি থেকে পড়ুয়াদের জন্য মিড ডে মিলের চাল-আলু বিতরণ করা হচ্ছে। তবে প্রথম দফায় চাল-আলু বিলির সময় করোনা সতর্কতা বিধি ঠিকমতো মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। তাই দ্বিতীয় দফায় বিতরণের আগে ৬ দফা সতর্কতা বিধি মানার জন্য স্কুলগুলিতে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে এবং তা কঠোর ভাবে মেনে চলতেও বলা হয়েছে। সেই মতো স্কুলগুলিকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে।
আগামী ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলেছে দ্বিতীয় দফার মিড-ডে মিল বিতরণ কর্মসূচি। তার আগে নির্দেশিকা অনুযায়ী স্কুলগুলিকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হল। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যে সব স্কুল থেকে চাল-আলু বিতরণ করা হবে সেই স্কুলগুলি যেন আগেই জীবাণুমুক্ত করা হয়। পুর এলাকার স্কুলগুলিকে জীবাণুমুক্ত করার দায়িত্ব নিয়েছে পুরসভা। কিন্তু পুর এলাকার বাইরে যে সব স্কুল রয়েছে তাদের নিজেদেরকেই সেই কাজ করতে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে স্কুলগুলির অ্যাকাউন্টে সেই বাবদ ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
হলদিয়া পুরসভার অন্তর্গত স্কুল পরাণচক শিক্ষানিকেতনের প্রধান শিক্ষক দীপনারায়ণ জানা বলেন, ‘‘যেহেতু পুর এলাকার মধ্যে এই স্কুল, তাই স্কুলকে জীবাণুমুক্ত করার দায়িত্ব নিয়েছে পুরসভা। আমাদের সেরকম কিছু করতে হচ্ছে না।’’ পুর পারিষদ নারায়ণ প্রামাণিক বলেন, ‘‘পুরসভার আওতাধীন সমস্ত স্কুলের স্টোর রুম ও অভিভাবকদের স্কুলে প্রবেশের পথ-সহ চারপাশ জীবাণুমুক্ত করা দেওয়া হবে পুরসভার পক্ষ থেকে।’’
অন্যদিকে পুর এলাকার বাইরে স্কুল বাজিতপুর সারদামণি বালিকা বিদ্যালয়। তাদের নিজেদেরই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করে নিতে হয়েছে। শুক্রবার সকালে স্কুলে গিয়ে দেখা গেল, স্কুলের প্রবেশ পথ, স্টোর রুম ও যেখানে অভিভাবকেরা এসে দাঁড়াবেন সে সব জায়গয় ও তার চারপাশের জায়গায় জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুমনা পাহাড়ি বলেন, ‘‘শুধু জীবাণুমুক্ত করা নয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য দাগ কেটে চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। যাঁরা আসবেন তাঁদের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সঙ্গে বলা হয়েছে সরকারের নির্দেশ মতো মাস্ক ব্যবহার করতে।’’