প্রতীকী ছবি
চতুর্থ দফার লকডাউন ওঠার আগেই কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বেসরকারি বাস চালানোর ছাড়পত্র দিয়েছিল রাজ্য সরকার। শর্ত ছিল বাসে ২০ জনের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। শেষপর্যন্ত বাস ভাড়া নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের পরেও পুরনো হারে ভাড়া নিয়ে বাস চালাতে রাজি হননি পূর্ব মেদিনীপুরের বেসরকারি বাসমালিকরা।
গত বুধবার থেকে সরকারি বাস চলাচল শুরু হয়েছে জেলার কয়েকটি রুটে। শনিবার রাজ্য সরকারের তরফে ১ জুন থেকে গণ্ডিবদ্ধ এলাকার বাইরে বাস চালানোর ছাড়পত্র দেওয়ার পাশাপাশি বাসে যত সংখ্যক আসন ততজন যাত্রী নিয়ে বাস চলাচলের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারি ঘোষণার পরেও ১ জুন থেকে জেলায় বেসরকারি বাস চলাচল নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। জেলার হলদিয়া-মেচেদা, দিঘা-মেচেদা-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত রুটে যাত্রীদের চাপ থাকলেও বেসরকারি বাস মালিকরা এখনই বাস চালাতে আগ্রহী নন বলে বাসমালিক সংগঠনগুলির দাবি। এবিষয়ে জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিবহণ দফতরের সঙ্গে বৈঠকের পরই বাস চালানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরে প্রায় ১২০০ বেসরকারি বাস রয়েছে। জেলা বাস ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক মহম্মদ সামসের আরেফিন বলেন, ‘‘বাস চালানোর জন্য সরকার ছাড়পত্র দিলেও করোনার জন্য এখনও লোকজন সে ভাবে বেরোচ্ছেন না। ফলে বাস চালাতে গেলে যে সংখ্যক যাত্রী প্রয়োজন তা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ফলে রাস্তায় বাস নামালে লোকসানে সম্ভবনায় অধিকাংশ বাস মালিক এখনই বাস চালাতে রাজি নন। এবিষয়ে পরিবহণ দফতরের সঙ্গে আলোচনার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ তিনি আরও জানান, বাম নামালে কর্মীদের অনেকেই করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন। সে ক্ষেত্রে বাসকর্মীদের জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে যাতে সরকারিভাবে সাহায্য করা হয় সেজন্য প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
জেলা পরিবহণ আধিকারিক সজল অধিকারী বলেন, ‘‘জেলায় বেসরকারি বাস চালানোর জন্য আমরা চেষ্টা করছি। বাসমালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সংগঠনগুলির তরফে জানানো হয়েছে প্রথমে জেলার বিভিন্ন রুটে পরীক্ষামূলকভাবে বাস চালানো হবে। কী রকম সংখ্যক যাত্রী হয় তা দেখে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে।’’
জেলা পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, জেলায় বেসরকারি বাস চলাচলের জন্য আগের সময়সূচির কিছুটা পরিবর্তন করে প্রথমে দিনের ব্যস্ত সময়ে বাস চলাচল শুরু করা হতে পারে। প্রথমে কম সংখ্যক ও কিছুটা বেশি সময় অন্তর বাস চালানো হবে। পরে যাত্রীসংখ্যা বাড়লে ধাপে ধাপে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে।