শিকার করা পাখি হাতে। নিজস্ব চিত্র
করোনা মোকাবিলায় দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। প্রশাসনিক আধিকারিকরা ব্যস্ত জরুরি পরিষেবা চালু রাখতে। সেই সুযোগে জেলা জুড়ে বন্যপ্রাণী শিকারে নেমে পড়েছে এক শ্রেণির মানুষ। দেদার শিকার করা হচ্ছে গোসাপ থেকে পাখি। বন দফতরের নজরদারির আশ্বাসেও নিশ্চিন্ত হয়ে পারছেন না পরিবেশ ও পশুপ্রেমীরা।
আদিবাসীদের সেঁন্দরা পরব উপলক্ষে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ও কোলাঘাটের জঙ্গলগুলিতে শিকার উৎসব চালু ছিল। বন দফতরের লাগাতার প্রচার ও অভিযানের জেরে বিগত কয়েক বছরে সেঁন্দরা পরবে বন্যপ্রাণী শিকার কমে এসেছে অনেকটাই। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে লকডাউন পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ফের এক শ্রেণির মানুষ মেতে উঠেছে শিকারে। ছররা বন্দুক ও হাতে তৈরি নানা ধরনের অস্ত্র দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে গো-সাপ, পাখি। কোলাঘাটের সিদ্ধা-২ এলাকায় এক আদিবাসী যুবকের দাবি, ‘‘হাতে কাজ নেই। কী খাব? তাই শিকার করছি। জঙ্গলে এখনও ভাল গোসাপ মেলে।’’ যদিও বন দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘এই পরিস্থিতিতে যাতে কোনও মানুষ অভুক্ত না থাকে তার জন্য রেশনের মাধ্যমে পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। তাই এই তত্ত্ব ঠিক নয়। বন্যপ্রাণী হত্যা আইনত দণ্ডনীয়। এই বিষয়ে আমরা নজরদারি চালাব।’’
পাখি শিকারের অভিযোগ এসেছে খেজুরির হলুদবাড়ি এলাকা থেকে। সেখানে এক শ্রেণির শিকারি মানুষ ছররা বন্দুক দিয়ে অবাধে শিকার করছে শামুক খোল। সম্প্রতি চোরাশিকারিদের গুলিতে জখম একটি শামুকখোল উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপর বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার জন্য বন দফতর ও স্থানীয় থানার কাছে আবেদন জানিয়েছেন খেজুরি ২-এর বিডিও রমন সিংহ বিরদি। তিনি বলেন, ‘‘চোরা শিকারিদের ধরা যায়নি। প্রায় প্রতিদিনই এখানে পাখি শিকার চলছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সমস্ত দফতরকে বলেছি।’’
এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বনাধিকারিক স্বাগতা দাস বলেন, ‘‘এই বিষয়ে নজরদারি চালানোর জন্য স্থানীয় থানাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।