Coronavirus

মদের হোম ডেলিভারি, পৌঁছে দেবেন কে! 

আবগারি দফতর সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরে ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি করে অনুমোদনপ্রাপ্ত মদের দোকান রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২০ ০০:৩৪
Share:

প্রতীকী ছবি

জেলায় মদের হোম ডেলিভারিতে ছাড় দিয়েছে আবগারি দফতর। তাতে রয়েছে একাধিক শর্ত। তবে পূর্ব মেদিনীপুরে একাধিক সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত মদ ব্যবসায়ী পড়েছেন অন্য ‘ফাঁপরে’। তাঁরা জানাচ্ছেন, করোনা আতঙ্কে হোম ডেলিভারি করতে যেতে চাইছেন দোকানের কর্মীদের একাংশ।

Advertisement

আবগারি দফতর সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরে ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি করে অনুমোদনপ্রাপ্ত মদের দোকান রয়েছে। এছাড়া, শহর এলাকায় একাধিক দোকান রয়েছে। সব মিলিয়ে ৩০০টিরও বেশি লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকান রয়েছে। লকডাউন ঘোষণার পর থেকে মদের সমস্ত কাউন্টার বন্ধ। তবে সম্প্রতি জেলা আবগারি দফতর জানিয়েছে, মদের দোকান বন্ধ থাকছে। তবে যে সব দোকানের পিছনে দরজা রয়েছে, তাদের হোম ডেলিভারির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত মদের অফ ও অনশপগুলিকে হোম ডেলিভারি চালুর ব্যাপারে প্রস্তাব দেওয়া হলেও অনেক ব্যবসায়ীই এখনও রাজি হয়নি বলে খবর। লকডাউনে অধিকাংশ কর্মচারীরা দোকানে আসতে চাইছেন না। এর ফলে হোম ডেলিভারি চালু হলে চাহিদামত মদ গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়াও মুশকিল বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। এমনকী, যে সব দোকানের পিছন দিকে দরজা রয়েছে, সেই দরজা খোলা রেখে ব্যবসা চালু করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সমস্যা রয়েছে বলেই মনে করছেন লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদ দোকানদারদের একাংশ। কাঁথি শহরের এক লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকানের মালিক বলেন, ‘‘হোম ডেলিভারি চালু করতে কারা আগ্রহী, সে ব্যাপারে আবগারি আধিকারিকেরা ডেকে জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় হোম ডেলিভারি চালু করার ব্যাপারে কেউই খুব একটা আগ্রহ দেখাননি।’’

Advertisement

তবে মহিষাদল এবং পাঁশকুড়ায় অনুমোদনপ্রাপ্ত মদের দোকান থেকে হোম ডেলিভারি চালুর খবর মিলেছে। সে সব জায়গায় দোকানের মোবাইল নম্বর-সহ লিফলেট বিলি হয়েছে। মহিষাদলের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ওই মদ দোকানের তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েক দিনে গ্রাহকেরা ফোন করে প্রচুর মদের অর্ডার করেছেন। সেই মতো মদ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার আবগারি সুপার জতন মণ্ডল বলেন, ‘‘শর্ত সাপেক্ষে হোম ডেলিভারিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দোকান কোনও মতো খোলা যাবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement