Coronavirus

করোনার জেরে পুরসভায় তালা, চালু শুধু জরুরি পরিষেবা

পুরসভার চেয়ারম্যান দুর্গাশঙ্কর পান বলেন, “জরুরি পরিষেবা ছাড়া পুরসভার যাবতীয় পরিষেবা বন্ধ। টাস্ক ফোর্সের কাজও বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে তাপমাত্রা মাপছেন।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্ষীরপাই শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২০ ০১:৫০
Share:

বন্ধ: ক্ষীরপাই পুরসভা। নিজস্ব চিত্র

পুরসভা তালা বন্ধ। পুরপ্রধান, কাউন্সিলর ও পুরকর্মীদের একাংশ চলে গিয়েছেন কোয়রান্টিনে। এতদিন পুর এলাকায় করোনা পরিস্থিতি দায়িত্ব নিয়ে সামলে এসেছেন যাঁরা সেই টাস্ক ফোর্সের সদস্যরাও হোম কোয়রান্টিনে। ফলে পরিষেবার প্রশ্নে কার্যত বিপযর্য়ের মুখে ক্ষীরপাই।

Advertisement

পুরসভার চেয়ারম্যান দুর্গাশঙ্কর পান বলেন, “জরুরি পরিষেবা ছাড়া পুরসভার যাবতীয় পরিষেবা বন্ধ। টাস্ক ফোর্সের কাজও বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে তাপমাত্রা মাপছেন।”

প্রথম পর্যায়ে লকডাউন শুরু হতেই ক্ষীরপাই শহরে গঠিত হয়েছিল টাস্ক ফোর্স। লকডাউন পরিস্থিতিতে শহরের দশটি ওয়ার্ড ছাড়াও লাগোয়া এলাকা গুলিতেও ছুটতেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা। কোথায় কী সমস্যা, চা দোকান খোলা আছে কি না, কোনও ওয়ার্ডে বাইরের লোক ঢুকল কি না, অথবা অপরিচিত কেউ শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে কি না, তার নজরদারি চালাতেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা। ভিড় এড়াতে ক্ষীরপাই শহরে আনাজ বাজারে কড়া নজরদারি, এমনকি, ট্রলিতে করে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে আনাজ বিক্রি চলছিল কমিটির নেতৃত্বে।বিক্ষিপ্ত ভাবে কেউ কেউ বয়স্কদের ওষুধ,মনোহারি সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজও করতেন। লকডাউন ঠিকঠাক মানা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে সকাল-রাত সব সময় সতর্ক থাকতেন তাঁরা। ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের কেউ ফিরলে তাঁদের প্রতি নজরদারি ছিল সমানে।এতে শহরের অধিকাংশ বাসিন্দা অনেকটা ভরসা পেয়েছিলেন। বিপদে টাস্ক ফোর্সকে ফোন করে সাহায্য-পরামর্শ নিতেন অনেকে। করোনা আবহে শহর জুড়েই গুজব রটলে পদক্ষেপ করত এই কমিটি।এতে ভরসা ছিল পুলিশ-প্রশাসনেরও।

Advertisement

কিন্তু চিকিৎসা সূত্রে ক্ষীরপাই পুরকর্মীর বাবার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার পরই বুধবার থেকে যাবতীয় পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ, সংশ্লিষ্ট পুরকর্মীই টাস্ক ফোর্সের কাজে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছিলেন। আপাতত তিনি গৃহ পর্যবেক্ষণে। তাঁর সঙ্গীদেরও অনেকের একই দশা। টাস্ক ফোর্স সক্রিয় নেই। ফলে বস্তুত মুষড়ে পড়েছেন শহরের বাসিন্দাদের একাংশ। ক্ষীরপাই শহরের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা বাণী সিংহ রায় চিকিৎসক সুব্রত লাহা। বলেন, ‘‘করোনা আবহে যে কোনও বিপদে টাস্ক ফোর্সকে পেতাম।ওষুধ থেকে বাজার ঘরে হাজির হয়ে যেত।এখন বাইরে বেরোনো এমনিতে ঝুঁকির।সেখানে সহায় হয়েছিল ওঁরা। এখন সেই সদস্যরাই কোয়ারান্টিনে চলে যাওয়ায় কী হবে বুঝতে পারছি না।’’জেলার এক পদস্থ পুলিশ আধিকারিক মানলেন, “লকডাউন পরিস্থিতিতে এই টাস্ক ফোর্সের ভূমিকা খুব ভাল ছিল।”

তালাবন্ধ ক্ষীরপাই পুরসভাও।তারজেরে পুর পরিষেবাও শিকেয় উঠেছে।লকডাউনে সরকারি ভাবে নানা সুযোগ সুবিধের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকার।পুরসভায় এসে অনেকেই খোঁজ খবর নিতেন।অনেকে সার্টিফিকেট নিতেও আসছিলেন।বুধবার থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।ওই সমস্ত পরিষেবা বন্ধ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement