Coronavirus

লাল-কমলার বিভ্রান্তি, কমল না বাজারের ভিড়

অশোকনগরের দিঘড়া মালিকবেড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা এক চাষি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২০ ০১:৩৯
Share:

অসচেতন: ভিড় হাসনাবাদের মুরারিশা বাজারে।

প্রশাসন থেকে সর্বশেষ তালিকাটি পাওয়া গিয়েছিল গত সোমবার। সেটা ছিল এপ্রিলের ২৭ তারিখ। সে দিন উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় দু’টি, এবং হাবড়া ও নৈহাটিতে একটি করে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা (কন্টেনমেন্ট জ়োন) ছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কোনও গণ্ডিবদ্ধ এলাকা ছিল না। গত সাত দিনে দুই জেলাতেই করোনা-চিত্র অনেকটাই বদলেছে। আক্রান্তের তালিকায় সংখ্যাবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গণ্ডিবদ্ধ এলাকাও বেড়েছে। কিন্তু প্রশাসনের তালিকা ‘আপডেট’ না হওয়ায় এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের এলাকা সম্পর্কে জানতে পারছেন না। সেই সুযোগে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছুটছে ঝড়ের বেগে। না জানার জন্য অনেকে বাড়তি সতর্কতাও নিতে পারছেন না।

Advertisement

অশোকনগরের দিঘড়া মালিকবেড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা এক চাষি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। তিনি খেতের আনাজ মধ্যমগ্রাম, বারাসত, আমডাঙা, দত্তপুকুর, অশোকনগরের হাটে বিক্রি করতেন। ওই চাষির ধারণাই ছিল না যে মধ্যমগ্রামের একটি অংশ গণ্ডিবদ্ধ এলাকার মধ্যে পড়ে।

আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়তেই আনাজ কারবারিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুলিশ, প্রশাসন, স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারাও চিন্তিত। ওই চাষি কার সংস্পর্শে এসেছিলেন এবং তাঁর সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে। এর আগে অশোকনগরের বাঁশপুল পঞ্চায়েতের এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন দিন কয়েক আগে। দুই আক্রান্তের বাড়ির আশপাশে ৫০ মিটার এলাকা বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। আরও কিছু এলাকা নিয়ে বিভ্রান্তি বাড়ছে।

Advertisement

নৈহাটি পুরসভা সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে পাঁচটি ওয়ার্ডকে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রশাসনের কাগজে কিন্তু একটি এলাকাই কনটেনমেন্ট জোন। শুধু নৈহাটিই নয়, গত সাত দিনে ইছাপুর, পলতা, ব্যারাকপুরের পাঁচটি এলাকা এবং টিটাগড়ে করোনা-আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। কিন্তু নতুন করে কোনও তালিকা তৈরি হয়নি। ফলে এলাকায় বিভ্রান্তি রয়েছে। প্রশাসন থেকে এলাকা ঘিরে দেওয়া হলেও, আক্রান্তের এলাকার বাইরে সে বিষয়ে কোনও প্রচার নেই। ফলে অনেকেই গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় ঢুকে পড়ছেন। স্থানীয়দের দাবি, গণ্ডিবদ্ধ এলাকার তালিকা রোজই আপডেট করা হোক। সে জন্য প্রশাসন পৃথক ওয়েবসাইট বা পোর্টাল তৈরি করুক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement