মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচকে সিপিএমের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
লকডাউন ভেঙে প্রতিবাদে নামায় রাস্তা থেকেই গ্রেফতার হলেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তাপস সিংহ। গ্রেফতার হয়েছেন সৌম্যদেব অধিকারী নামে দলের এক যুব নেতাও। রবিবার সকালে কোতোয়ালি থানার পুলিশ এঁদের গ্রেফতার করে।
এ দিন মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচকে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম। তাপসদের পাশাপাশি ছিলেন দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কীর্তি দে বক্সী প্রমুখ। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দূরত্ববিধি মেনে, মাস্ক পরেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সিপিএম নেতাকর্মীরা। আরও বেশি করোনা পরীক্ষা, সঠিক তথ্য প্রকাশ, রেশনে দুর্নীতি বন্ধ, লকডাউনে বিপন্ন মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছনোর দাবি জানান তাঁরা। লকডাউন ভেঙে বিক্ষোভের অভিযোগে তাপসদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ ভ্যানে করে দু’জনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা পরে, দুপুরে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন সেই দু’জন।
সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক তরুণ রায়ের অভিযোগ, ‘‘রাজ্য সরকার তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’’ পুলিশের আচরণের নিন্দাও করেন তিনি। পুলিশ সূত্রে অবশ্য দাবি, ওই দলের নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যে দূরত্ব রেখে দাঁড়ালেও লকডাউনের মধ্যে জমায়েতের সংখ্যা পাঁচের বেশি ছিল বলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিপিএমকে বিঁধে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘এই সময়ে সঙ্কীর্ণ রাজনীতি না করাই উচিত।’’
রবিবার প্রতীকি প্রতিবাদ হয় বেলদাতেও। এ দিন সিপিএমের নেতা-কর্মীরা বেলদায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে বেলদা-দিঘা রাজ্য সড়কের ধারে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েক দফা দাবি তুলে ধরেন। খবর পেয়ে বেলদা থানার পুলিশ এসে কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়। এখানেও স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছে সিপিএম। প্ল্যাকার্ডগুলিতে সব গরিব মানুষকে বিনামূল্যে রেশন, খেত মজুরদের বিনামূল্যে মাস্ক, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সরকারি মূল্যে ধান কেনার দাবি জানানো হয়েছে। বেলদার বাজারগুলি জীবাণুমুক্ত করার দাবিও জানান বিক্ষোভকারীরা।