প্রতীকী ছবি
লকডাউনে জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতার গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল ন’বছরের এক শিশুর। খেজুরির কামদেবনগরে শনিবার দুপুরে ওই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে ছিলেন কর্মাধ্যক্ষের দুই ভাগ্নে। লকডাউনে তাঁরা গাড়ি নিয়ে কোথায় গিয়েছিলেন, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম দাসের গাড়ি দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল। সে সময় রাস্তার পাশের একটি বাড়ি থেকে শেখ আলেম আলি নামে এক শিশু ছুটে রাস্তায় চলে আসে। গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আলেমকে ধাক্কা মারে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় কামারদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
গাড়িটা জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তথা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিমের জানতে পেরে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের অভিযোগ, গাড়িটি আলেমকে চাপা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। স্থানীয়েরা গাড়ি এবং গাড়ির চালককে আটকে রাখে প্রায় ঘণ্টাদু’য়েক বিক্ষোভ দেখান। পরে খেজুরি থানার পুলিশ গিয়ে গাড়িটিকে উদ্ধার করে। আটক গাড়ির চালককে জখম থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে ছিল কর্মাধ্যক্ষের দুই ভাগ্নে। লকডাউনে তাঁরা গাড়ি নিয়ে কোথায় বেরিয়েছিলেন? কর্মাধ্যক্ষ পার্থপ্রতিমের জবাব, ‘‘চেম্বারের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। দুই ভাগ্নে গাড়ি নিয়ে বাড়ির ভূষিমাল বাজার করতে গিয়েছিল। রাস্তায় দুর্ঘটনায় এক শিশু মারা গিয়েছে বলে খবর পেয়েছি।’’
তৃণমূল নেতার গাড়ির ধাক্কায় শিশুর মৃত্যুতে সুর চড়িয়েছে বিরোধী সিপিএম। জেলা সিপিএম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হিমাংশু দাস বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল নেতার গাড়ি জড়িত থাকায় পুলিশ বিক্ষোভরত স্থানীয়দের হঠিয়ে দেয়। ওই শিশুর পরিবারের পাশে থাকার জন্য আমরা সব রকম চেষ্টা করছি।’’ যদিও এলাকায় কোনও বিক্ষোভ হয়নি বলে পুলিশের দাবি। সন্ধ্যায় শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।