সিপিআইয়ের কমিউনিটি কিচেন। ছবি: দেবরাজ ঘোষ
লকডাউনে মানুষের পাশে থাকতে চায় শাসক-বিরোধী সবপক্ষই। কেউ বিনামূল্যে বিলি করছে আনাজ। কেউ খুলেছে কমিউনিটি কিচেন। রবিবার ঝাড়গ্রাম ব্লকের বাঁধগোড়া অঞ্চলের খানাকুল গ্রামে কমিউনিটি কিচেন চালু করল সিপিআই ও তার শাখা সংগঠনগুলি প্রায় সাতশো জনকে ভাত, তরকারি ও ডিমের ঝোল বিলি করা হয়। ছিলেন সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সন্তোষ রানা। এ দিনই পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ঝাড়গ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে ঝাড়গ্রাম শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপল্লিতে স্বাস্থ্যশিবির হয়। তৃণমূলের ওই শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি জয়দীপ হোতা জানান, শিবিরে মাস্ক ও ওষুধ দেওয়া হয়। ঝাড়গ্রাম শহর তৃণমূলের উদ্যোগে শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে আনাজ বিলি করা হয়।
আগামী বছর বিধানসভা ভোট। ২০১৮-র ডিসেম্বর থেকে ঝাড়গ্রাম পুরসভায় নির্বাচিত পুরবোর্ড নেই। ফলে হতে পারে পুরভোটও। সবদিক মাথায় রেখে রাজনৈতিক দলগুলির এই সক্রিয়তা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কিছুদিন আগে জেলায় বৈঠক করে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলের জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, মানুষের চোখে পড়ার মতো কাজ করতে হবে।
শাসক-বিরোধী সকলেরই অবশ্য বক্তব্য, ভোট নয়। এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে থাকতেই তাদের যাবতীয় কর্মসূচি। জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী বিরবাহা সরেন বলেন, ‘‘অন্য দল কে কী করছেন সেটা বিষয় নয়। দায়িত্বশীল শাসকদল হিসেবে আমরা প্রতিদিনই নানা ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়চ্ছি। দল ও দলের শাখা সংগঠনগুলিকে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
আর সিপিআইয়ের সন্তোষ বলেন, ‘‘ভোট অনেক দূরের বিষয়। কারা কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, সেটা মানুষই বিচার করবেন। এখন এই পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’’