প্রতীকী ছবি।
করোনা মোকাবিলায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রশাসনিক তিনস্তরে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, কোনস্তরের টাস্ক ফোর্সের কী করণীয় এক নির্দেশিকায় তাও জানানো হয়েছে। টাস্ক ফোর্স গড়া হয়েছে ব্লক, মহকুমা এবং জেলাস্তরে।
ওই সূত্র জানাচ্ছে, মূলত করোনা আক্রান্ত এবং সন্দেহভাজনদের চিকিৎসার দিকগুলি দেখতে এবং চিকিৎসার কাজে যুক্ত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে প্রয়োজনীয় উপকরণ পৌঁছনো নিশ্চিত করতেই তিনস্তরে টাস্ক ফোর্স গড়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ব্লকস্তরে ৪- ৫ সদস্যের টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। নেতৃত্বে থাকছেন বিডিও। সঙ্গে বিএমওএইচ। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিদিনের পরিস্থিতির উপরে এই টাস্ক ফোর্সকে একেবারে গ্রামস্তর পর্যন্ত নজর রাখতে হবে। কোথায় কী প্রয়োজন দেখতে হবে। রোজকার পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। আশা, এএনএম প্রমুখ স্বাস্থ্যকর্মীদের সুবিধে- অসুবিধের দিকগুলি দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিপিএইচএন-কে। প্রতি সপ্তাহের সোমবার ব্লক থেকে প্রতি রিপোর্ট পাঠাতে হবে মহকুমায় এবং জেলায়।
মহকুমাস্তরের টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্বে থাকছেন মহকুমাশাসক (এসডিও)। সঙ্গে থাকছেন অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (এসিএমওএইচ)। মহকুমাস্তরে ৩-৪ সদস্যের টাস্ক ফোর্স হয়েছে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ব্লকস্তরের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে মহকুমা রিপোর্ট দেবে জেলাকে। এ ক্ষেত্রেও রিপোর্ট দিতে হবে প্রতি সোমবার। জেলাস্তরে ৮-৯ সদস্যের টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। জেলাস্তরের টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান জেলাশাসক রশ্মি কমল। সঙ্গে থাকছেন জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রণব বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলাশাসক (স্বাস্থ্য) প্রতিমা দাস প্রমুখ। সূত্রের খবর, মেদিনীপুর মেডিক্যালের মেডিসিন বিভাগের প্রধানও জেলাস্তরের টাস্ক ফোর্সে থাকছেন।
পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই), এন-৯৫ মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রভৃতির জোগান চাহিদার তুলনায় কম। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উপকরণ বণ্টনে ব্লকগুলির সঙ্গে সমন্বয় রাখতে জেলাস্তরে নোডাল অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলার পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক সুদীপ্ত সাঁতরাকে। জেলার স্বাস্থ্য ভবনের তরফে তাঁকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গীকে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, নোডাল অফিসার প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার জেলায় রিপোর্ট দেবেন। জেলাস্তরের টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।
লকডাউন চলছে। এই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় জেলাস্তরে স্থানীয়ভাবে কোনও কিছুর নিয়ন্ত্রণ বা শিথিলের প্রয়োজন হলে সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে জেলাস্তরের টাস্ক ফোর্স।