Sanitization Tunnel

জীবাণুনাশক টানেল বন্দরে, সদরে মাস্ক বিলি

কিছুদিন আগে বন্দরে কর্মরত এক বেসরকারি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২০ ০১:০০
Share:

করোনা সতর্কতায় তৈরি হওয়া টানেল। নিজস্ব চিত্র

করোনার সঙ্গে লড়তে তামিলনাড়ু সরকারকে অনুকরণ করলেন হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর চত্বর এবং হাসপাতালে তাঁরা বসালেন চারটি জীবাণুনাশক টানেল।

Advertisement

কিছুদিন আগে বন্দরে কর্মরত এক বেসরকারি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছিল। তাতে আতঙ্কিত হয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন শ্রমিকরা। কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে এ বার বন্দর হাসপাতালের প্রধান প্রবেশপথ, পাওয়ার হাউস, জিসি বার্থ, জিরো গেট— চারটি জায়গায় জীবাণুনাশক টানেল বসানো হয়েছে।

বন্দর সূত্রে খবর, টানেলটি মোটা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয়েছে। এক একটি টানেল ২০ ফুট লম্বা এবং চার ফুট চওড়া। উচ্চতা সাড়ে সাত ফুট। তাতে ১০টি করে চারমুখী পাইপ রয়েছে। সেই পাইপের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে একটি হাজার লিটার জলের ট্যাঙ্ক। তাতে সামান্য পরিমাণে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট মেশানো রয়েছে। এটি জীবাণুনাশক হিসাবে কাজ করছে। কেই টানেল দিয়ে হেঁটে গেলে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড মিশ্রিত জল স্প্রে করা হবে। তাতে একজনের গোটা শরীর স্যানিটাইজ় হয়ে যাবে।

Advertisement

বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানানো হয়েছে, তামিলনাড়ু সরকার সে রাজ্যে এভাবে একাধিক জায়গায় টানেল লাগিয়েছে। তা দেখেই বন্দরে টানেল বসানো হয়েছে। এক একটি টানেল তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার অমল দত্ত বলেন, ‘‘প্রথম পর্যায়ে চারটি টানেল বসানো হয়েছে। হলদিয়ার আরও বেশ কিছু জায়গায় তা বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’’

অন্যদিকে, তমলুকের করোনায় আক্রান্ত বৃদ্ধ পান ব্যবসায়ীর বাড়ির এলাকায় দু’টি গ্রাম সিল করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার থেকে সেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারিভাবে মাস্ক দেওয়া হয়। বেশি সদস্য রয়েছেন, এমন পরিবারে পাঁচটি এবং কম সদস্য রয়েছেন এমন পরিবারে তিনটি করে মাস্ক দেন স্বাস্থ্য কর্মীরা।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, পান ব্যবসায়ী বৃদ্ধের চিকিৎসা করেছিলেন এক গ্রামীণ চিকিৎসক। তিনিও করোনায় আক্রান্ত হন। বর্তমানে তিনি সুস্থ। তবে তিনি যাঁদের চিকিৎসা করেছিলেন, তাঁদের হোম আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা হয়েছিল। আজ, বুধবার সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে। বুধবার ফের তাঁদের প্রত্যেকের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের মেডিক্যাল টিম ওই বাসিন্দাদের বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে।

পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘হোম আইসোলেশনে থাকা বাসিন্দাদের এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে মাস্ক দেওয়া হয়েছে। আইসোলেশনে থাকা বাসিন্দাদের প্রত্যেকের ফের একদফা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement