পুজোর মুখে মাস্ক অভিযানে নামল পুলিশ। মাস্ক না পরলে কোথাও দেওয়া হচ্ছে ধমক, কোথাও বোঝানো হচ্ছে হাত জোড় করে।
মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন রাস্তায় পথচলতি লোকজন, বাইক, গাড়ির আরোহীরা মাস্ক পরেছেন কি না দেখছেন পুলিশ কর্মীরা। না পরলে দেওয়া হচ্ছে ধমক। কেশপুর, শালবনি, গড়বেতা, গোয়ালতোড়-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্য থানা এলাকাগুলিতেও রাস্তায় নেমে মাস্ক পরাচ্ছে পুলিশ। সোমবার মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা হিমাংশু মান্না, বরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়-সহ কয়েকজন মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরিয়ে পুলিশের সামনে পড়ে যান। তাঁদের স্বীকারোক্তি, ‘‘আমাদেরই ভুল। পুলিশ দোকান থেকে মাস্ক কিনিয়ে সেটি পরিয়ে তবে ছেড়েছে।’’
তবে এতে কাজের কাজ কতটা হবে সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। বিরোধীদের অভিযোগ, অনেক জায়গাতেই পুলিশের নাকের ডগাতেই বিনা মাস্কে জটলা হচ্ছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ যদি কঠোর না হয়ে শুধু অনুরোধ করে তাতে পরিস্থিতি খুব বেশি বদলাবে না বলেও আশঙ্কা করেছেন তাঁরা। বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাসের কটাক্ষ, ‘‘সংক্রমণ রুখতে রাজ্য সরকারেরই সদিচ্ছা নেই। পুলিশ তো এই সরকারেরই অঙ্গ। ফলে যা হওয়ার হচ্ছে।’’
বাস্তবেও পুলিশের অভিযানের পরেও জেলা শহর থেকে ব্লক সর্বত্রই অসচেতনতার ছবি দেখা গিয়েছে। সোমবারও খোদ মেদিনীপুর শহরেই আঢাকা মুখেই কেনাকাটা করতে দেখা গিয়েছে অনেককে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেদিনীপুর শহরের এক অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষক বলেন, ‘‘পুলিশ কড়া না হয়ে শুধু গাঁধীগিরি করলে মাস্ক নিয়ে দায়সারা ভাব থাকবেই।’’ তবে জেলা পুলিশের এক আধিকারিক অবশ্য জানান, আগের চেয়ে মানুষ এখন অনেক সচেতন হয়েছেন। করোনা সচেতনতায় মাস্ক অভিযান এখন চলবে।