প্রতীকী ছবি।
করোনা পরীক্ষার জন্য সন্দেহভাজনের লালারসের নমুনা সংগ্রহে এ বার কিয়স্ক বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে ২৫টি করোনা টেস্টিং কিয়স্ক কেনা হচ্ছে। বেশিরভাগই নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রগুলিতে পাঠানো হবে। কিছু কিয়স্ক ভ্রাম্যমাণ রাখা হতে পারে। জেলাশাসক রশ্মি কমল মানছেন, ‘‘কিছু করোনা টেস্টিং কিয়স্ক কেনা হচ্ছে। এ বার কিয়স্ক থেকেও নমুনা সংগ্রহ করা হবে।’’ জেলাশাসকের দাবি, ‘‘এর ফলে নমুনা সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা আরও নিশ্চিত হবে।’’
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে পশ্চিম মেদিনীপুরেও। গত দু’সপ্তাহের মধ্যেই নতুন করে কয়েকজন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। বেড়ে চলেছে সন্দেহভাজনের সংখ্যাও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে করোনা পরীক্ষার হার আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন। এক সময়ে জেলায় নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৬টি। পরে তা বেড়ে হয়েছে ১৬টি। এর মধ্যে ১৪টি রয়েছে হাসপাতালে। এই হাসপাতালগুলির মধ্যে মেদিনীপুর মেডিক্যাল বাদেও রয়েছে সুপার স্পেশ্যালিটি, মহকুমা হাসপাতাল এবং গ্রামীণ হাসপাতালগুলি। পাশাপাশি, সবদিক দেখে দাঁতনের সোনাকোনিয়ায় ২টি নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। সোনাকোনিয়ার অদূরেই ওড়িশার সীমানা। এখন রোজ এখানে প্রচুর মানুষ আসছেন। সকলেই ভিন্ রাজ্য ফেরত। তাঁদের সকলের নমুনা সংগ্রহ করতে হচ্ছে। শুরুতে এখানে একটি নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র চালু করা হয়েছিল। পরে এখানে আরও একটি নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, শুরুতে সোনাকোনিয়াতেই দু’টি করোনা টেস্টিং কিয়স্ক পাঠানো হচ্ছে। ওই সূত্রে খবর, এই ধরনের কিয়স্কের মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী থাকেন। আর বাইরের একদিকে থাকেন সন্দেহভাজন রোগী। রোগীর নাক, মুখ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে ওই নমুনা পাঠিয়ে দেওয়া হয় পরীক্ষাগারে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা মানছেন, ‘‘করোনা টেস্টিং কিয়স্ক কেনার জন্য পদক্ষেপ করেছে জেলা প্রশাসন। এতে সুবিধে হবে। কয়েক দিনের মধ্যেই কিয়স্ক চালু হবে।’’ তিনি মনে করিয়ে দিচ্ছেন, লালারসের নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ঝুঁকি থাকে। কিয়স্ক চালুর ফলে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা আরও অনেক বেশি নিশ্চিত হবে। গিরীশচন্দ্রের কথায়, ‘‘স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার দিকটিতে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ওঁদের সুরক্ষার কথা ভেবেই এই কিয়স্ক চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে।’’
পশ্চিম মেদিনীপুরে এই মুহূর্তে তিনটি গণ্ডিবদ্ধ এলাকা (কন্টেনমেন্ট জোন) রয়েছে। নতুন করে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। ফলে, ওই এলাকার সংখ্যা বাড়তে পারে। শনিবার পর্যন্ত মেদিনীপুর মেডিক্যালে ৫,৯৫৬টি নমুনার পরীক্ষা হয়েছে বলে মেডিক্যালের এক সূত্রে খবর। প্রশাসন সূত্রে খবর, আগামী দিনে গণ্ডিবদ্ধ এলাকাগুলিতে কিছু কিয়স্ক ভ্রাম্যমাণ রাখা হতে পারে।