Coronavirus in Midnapore

মেডিক্যালে হঠাৎ ডিএম

বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন জেলাশাসক তথা মেদিনীপুর মেডিক্যালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রশ্মি কমল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:২৩
Share:

পরিদর্শনে জেলাশাসক। নিজস্ব চিত্র

করোনা আক্রান্ত প্রসূতিদের ভর্তি নেওয়ার ক্ষেত্রে চরম অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছিল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে, এরপরই আচমকা হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন জেলাশাসক তথা মেদিনীপুর মেডিক্যালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রশ্মি কমল। বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন তিনি। জেলাশাসক বলেন, ‘‘হাসপাতালে গিয়েছিলাম। কয়েকটি দিক খতিয়ে দেখেছি।’’

Advertisement

সম্প্রতি মেডিক্যালে এসে করোনা আক্রান্ত এক প্রসূতি অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যেই সন্তানের জন্ম দেন। তাঁকে শালবনি থেকে এখানে পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ, শুরুতে হাসপাতাল তাঁকে ভর্তি নিতে চায়নি। আরেক করোনা আক্রান্ত প্রসূতি প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে প্রায় দু’ঘন্টা হাসপাতাল চত্বরেই ছটফট করেছেন। তাঁকে ক্ষীরপাই থেকে এখানে পাঠানো হয়েছিল। এ ক্ষেত্রেও অভিযোগ, শুরুতে তাঁকে হাসপাতাল ভর্তি নিতে চায়নি। মা ও শিশুদের চিকিৎসায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘মাদার চাইল্ড হাব’ রয়েছে। করোনা আক্রান্ত প্রসূতিদের জন্য হাসপাতালে পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা প্রয়োজন। মেডিক্যালে সেই ওয়ার্ডই নেই। তাই করোনা আক্রান্ত প্রসূতি এলে তাঁকে বিস্তর সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে এখানে। ভর্তির জন্য প্রসূতির পরিজনেদের এখানে- সেখানে ছুটতে হচ্ছে। পরিস্থিতি দেখে এতদিনে পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

সেই পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ডে কাজ কতদূর এগিয়েছে তা খতিয়ে দেখতেই এ দিন আচমকা হাসপাতালে পরিদর্শনে আসেন জেলাশাসক। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রণব বিশ্বাস প্রমুখ। ছিলেন হাসপাতালের ডেপুটি সুপার শ্যামল পট্টনায়েক, পবিত্র মণ্ডল প্রমুখ। সূত্রের খবর, হাসপাতালের পুরনো ভবনের একতলায়, যেখানে আগে ‘লেবার রুম’ ছিল, সেখানে ওই ব্যবস্থা গড়ে উঠছে। আপাতত ১০টি শয্যা থাকবে এখানে। এখানে লেবার-টেবিলও থাকবে। সংক্রমিত প্রসূতিদের প্রসব এখানেই হবে। ঘরটির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেছেন জেলাশাসক। সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহ থেকেই এই ব্যবস্থা চালু হবে।

Advertisement

মেডিক্যালে একটি ‘সারি’ ইউনিট খোলারও কথা রয়েছে। শুধু ‘সারি’ ইউনিট নয়, মেডিক্যালে একটি এইচডিইউ (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) গড়ে তোলা হবে। এই দু’টি কাজও এ দিন খতিয়ে দেখেছেন জেলাশাসক। তবে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, প্রথমেই চালু করতে হবে সংক্রমিত প্রসূতিদের জন্য পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ড।

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement