প্রতীকী ছবি।
পুজোর পর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। পরস্থিতি মোকাবিলার জন্য জেলার করোনা হাসপাতালগুলিতে বাড়ানো হল শয্যা। নতুন করে দুটি ব্লকে খোলা হয়েছে সেফ হোম। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে অতিরিক্ত স্বাস্থ্য দল।
করোনা আবহে এবার পুজো হচ্ছে। পুজোর সময় প্রতিমা দর্শনের কড়া নির্দেশিকা দিয়েছে উচ্চ আদালত। প্রশাসনের তরফে পুজোর দিনগুলোতে বাড়িতে থাকার আবেদন করা হচ্ছে। তার পরেও আমজনতাকে রোখা যাচ্ছে না। প্রতিমা দর্শনের জন্য তাঁরা বাইরে বেরবেন ধরেই নিচ্ছে প্রশাসন। আর প্রতিমা দর্শনের ভিড়ে করোনার সংক্রমণ এক লাফে অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে আশঙ্কা স্বাস্থ্য দফতরের। পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে জেলায় করোনা হাসপাতালগুলিতে বাড়ানো হয়েছে শয্যা। অতিরিক্ত চিকিৎসক ও নার্সদের প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
পাঁশকুড়ার বড়মা করোনা হাসপাতালে ১৮০টি সাধারণ শয্যা রয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, পুজো পরিস্থিতি মাথায় রেখে এবার প্রতিটি শয্যাতেই অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিছু সাধারণ শয্যায় আবার ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের সরঞ্জাম রাখা হচ্ছে। বড়মায় সিসিইউ শয্যা ছিল ২২টি। সেখানে ১০টি শয্যা বাড়িয়ে ৩২টি করা হয়েছে। পুজোর পর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন চ্যানেল যুক্ত ৫০টি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর আগে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার জন্য কোনও শয্যা ছিল না।
চণ্ডীপুর মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার জন্য ১০০টি শয্যা ছিল। সেখানে আরও ৬০টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে ৬০টি শয্যায় অক্সিজেন চ্যানেল রয়েছে। বাকি শয্যাগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য পর্যাপ্ত সিলিন্ডার মজুত করা হয়েছে। এখানে সিইউ শয্যা ছিল ১০টি। নতুন করে আরও ২০টি সিসিইউ শয্যা রাখা হচ্ছে।
এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ১০টি আইসোলেশন শ্যায় ছিল। তা বাড়ানো হয়েছে ৩০টি শয্যা। নতুন করে এগরায় ৭০টি এবং কোলাঘাটে ৯০টি শয্যাযুক্ত সেফ হোমও চালু করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এর ফলে নদীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা-সহ গোটা জেলায় সেফ হোমের শয্যা সংখ্যায় বেড়ে হল ৩৭৪টি। এছাড়া, জেলার অন্য কোভিড হাসপাতালগুলিতেও বাড়ানো হয়েছে শয্যা। সিসিইউ চলানোর জন্য নতুন টেকনিক্যাল স্টাফও নিয়োগ করা হয়েছে।
পুজো এবং পুজো পরবর্তী সময়ে জেলার সমস্ত চিকিৎসক ও নার্সদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘পুজোর পর কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য গোটা জেলাতেই কোভিড চিকিৎসার শয্যা বাড়ানো হয়েছে। অতিরিক্ত চিকিৎসক ও নার্সদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলাবাসীকে বলব, পুজোর সময় বাড়ি থেকে না বেরনোই ভাল। সকলে বাড়িতে থাকলে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থাকবে না।’’