প্রতীকী ছবি।
করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন একের পর এক কর্মী। উপসর্গযুক্তরা কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উপসর্গহীনরা রয়েছেন গৃহ নিভৃতবাসে। সংক্রমিতদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁরাও ঘরবন্দি আছেন। ফলে, কর্মীর অভাবে ঘোর সঙ্কট দেখা দিতে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা স্বাস্থ্য দফতরেই।
জেলার করোনা মোকাবিলার অনেক পরিকল্পনাই জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে হয়। সেই সব কাজকর্ম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘কয়েকজন কর্মী সংক্রমিত হয়েছেন। সব দিক খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপই করা হচ্ছে। চিন্তার কিছু নেই।’’ জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গীও বলেন, ‘‘এখানকার কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখার সব রকম চেষ্টাই চলছে।’’ জেলার অন্য এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায় অবশ্য উদ্বেগ স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি অবশ্যই চিন্তার। কেন না, স্বাস্থ্যভবনের কর্মীরা আক্রান্ত হলে এখানকার দৈনন্দিন কাজে সমস্যা তৈরি হবে।।’’
জেলার স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত এখানকার পাঁচ কর্মী সংক্রমিত হয়েছেন। শনিবার তিনজন কর্মী সংক্রমিত হন। চারজন কর্মীর করোনা পরীক্ষা হয়েছিল। পজ়িটিভ তিনজনের কারওরই উপসর্গ নেই। দিন কয়েক আগে এখানকার এক কর্মী সংক্রমিত হন। তাঁর পরিবারের আরও চার সদস্য সংক্রমিত হয়েছেন। ওই কর্মীর সংস্পর্শে আসার সূত্রেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ওই চার কর্মীর করোনা পরীক্ষা হয়েছে। ওই সংক্রমিত কর্মীরা আবার জেলার আরও কয়েকজন স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং সহকর্মীর সংস্পর্শে এসেছেন। সংক্রমিত এক কর্মী মানছেন, ‘‘জেলার স্বাস্থ্যভবনে কাজ করি। কাজের সূত্রেই আমাদের স্বাস্থ্য আধিকারিক, সহকর্মীদের কাছাকাছি যেতে হয়েছে।’’
উদ্বেগ বেড়েছে জেলাশাসকের বাংলো চত্বরেও। শনিবার এখানকার ১৫ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। ২ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ। মেদিনীপুর শহরেরও বিভিন্ন এলাকাতেও করোনা ছড়াচ্ছে। পাটনাবাজারের ৩ জন, বল্লভপুরের একজন আক্রান্ত হয়েছেন। মেদিনীপুরের অন্য এলাকার আরও ৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন কয়েকজন রোগীও সংক্রমিত হয়েছেন। শনিবারই জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু’হাজার ছাড়িয়েছে। ওই দিন পর্যন্ত সংখ্যাটা ছিল ২,০৮৬।
জেলাশাসক রশ্মি কমল অবশ্য বলেন, ‘‘জেলায় সংক্রমণ-পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়। সংক্রমণ মোকাবিলায় যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’