প্রতীকী ছবি।
মেদিনীপুরের করোনা হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে এক যুবতীর। মৃতের নাম রাইমনি হেমব্রম (২৪)। বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড়ের (বিনপুর- ১) এক এলাকায়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ওই হাসপাতালের এক সূত্রে খবর।
মেদিনীপুর শহরতলির মোহনপুরের কাছে থাকা এক বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা হাসপাতালে (লেভেল- ২) রূপান্তরিত করা হয়েছে। এখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই যুবতী। জানা যাচ্ছে, তাঁর শ্বাসকষ্টের উপসর্গ ছিল। গত বুধবার তিনি এখানে ভর্তি হন। শুরু থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। পরিস্থিতি দেখে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। ওই হাসপাতালের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘সব রকম চেষ্টা করেও বাঁচানো গেল না। শুরু থেকেই ওই যুবতীর শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। চিকিৎসাধীন থাকলেও অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না।’’ পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরাও মানছেন, ‘‘শুরু থেকেই ওই যুবতীর শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল।’’
সূত্রের খবর, করোনা পরীক্ষার জন্য ওই যুবতীর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট অবশ্য শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আসেনি। জেলা প্রশাসনের এক সূত্র মনে করিয়ে দিচ্ছে, মেদিনীপুরের এই হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের রাখা হয় না। সন্দেহভাজনদেরই রাখা হয়।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনই ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটিতে চিকিৎসাধীন বছর চল্লিশের এক ব্যক্তিকে পূর্ব মেদিনীপুরের বড়মা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি এগরায় আত্মীয়বাড়িতে গিয়েছিলেন। লকডাউনের আগেই ফিরে আসেন তিনি। তবে আত্মগোপন করে ছিলেন। পরে গ্রামবাসী তাঁকে হাসপাতালে পাঠান। গত ২১ এপ্রিল তিনি ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি ঝাড়গ্রামের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা।