বন্দরের টানেল। নিজস্ব চিত্র
ক্ষতি করছে জীবাণুনাশক টানেল। তাই সেগুলি ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। অভিযোগ, অথচ তার পরেও ভ্রূক্ষেপ নেই হলদিয়া বন্দরের। সারাদিন খোলাই রইল টানেলগুলি।
উল্লেখ্য, সপ্তাহ খানেক আগে তামিলনাড়ু সরকারের পথে হেঁটে বন্দরের চারটি জায়গায় স্যানিটাইজার টানেল বসানো হয়েছিল বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে। টানেলগুলির পাশে রাখা ছিল সোডিয়াম হাইড্রোক্লোরাইড মিশ্রিত জল। মোটর টিপলেই সোডিয়াম হাইড্রোক্লোরাইড মিশ্রিত জল প্যানেলের মধ্যে স্প্রে হচ্ছিল। বন্দর কর্তৃরক্ষের দাবি ছিল, এতেই নাকি বন্দরে ঢোকার মুখে কর্মীদের শরীর স্যানিটাইজ হয়ে যাবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে এই জাতীয় স্যানিটাইজার টানেলগুলি যে শরীর পরিষ্কার করে এমন কোনও বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তি নেই বলে দাবি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সোডিয়াম হাইড্রোক্লোরাইড শরীরে লাগার ফলে ত্বক, চোখ ইত্যাদির ক্ষতি হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ডিরেক্টর অফ হেলথ সার্ভিস অজয় চক্রবর্তীও বলেন, ‘‘সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট স্প্রে করা যাবে না এতে শরীরের ক্ষতি হয়।’’
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আরও বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত তার ভাইরাস শরীরের ভিতরে থাকে বাইরে নয়।তাই মানুষের শরীরে রাসায়নিক মিশ্রিত জল স্প্রে করলে তার শরীর ও মনে প্রভাব পড়তে পারে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এমন বার্তা পাওয়ার পর তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষ থেকে স্যানিটাইজার টানেলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে গত ১৮ এপ্রিল নির্দেশিকাও জারি হয়েছে। কিন্তু তার পর দু’দিন কেটে গেলেও এখনও হলদিয়া বন্দরে যথারীতি স্যানিটাইজার টানেলগুলি চালু রয়েছে।
হলদিয়া বন্দর সূত্রে খবর, চারটি টানেল থেকে বাড়িয়ে ১০টি করা হবে স্থির হয়েছে। বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার অমল দত্ত বলেন, ‘‘স্যানিটাইজার টানেল নিয়ে নির্দেশিকার বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’