সচেতনতা বাড়াতে পুলিশের মাইক প্রচার। খড়্গপুর শহরে। নিজস্ব চিত্র।
সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি রেলশহরে এ বার উদ্বেগ মৃত্যুর সংখ্যাতেও। একদিনে মৃত্যু হল চারজনের।
মঙ্গলবার রাতে আসা আরটিপিসিআর রিপোর্টে এই শহরের ১৪জন একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়াও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ৩ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। সব মিলিয়ে একদিনে শহরে ১৭জন আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪জনের। মৃত শহরের পাঁচবেড়িয়ার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের ১জন মহিলা মেদিনীপুর মেডিক্যালে হাই সুগার, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ে দিন দু’য়েক ভর্তি ছিলেন। মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পরে রাতে করোনার রিপোর্টে জানা যায় তিনি পজ়িটিভ ছিলেন। তবে বাকি ৩জন মৃতের ১ জন হিজলির অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেশন ম্যানেজার। বুধবার ভোরে হিজলি রেল কোয়ার্টারে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি তাঁকে রেল হাসপাতালে আনার পথেই মৃত্যু হয়। এর পরে শহরের বাসিন্দা আরও দুই অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী অসুস্থ হয়ে রেল হাসপাতালে আসেন। অ্যান্টিজেন পরীক্ষার পরে জানা যায় তাঁরাও পজ়িটিভ ছিলেন। দুপুরেই মৃত্যু হয় ওই দুই অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মীর। অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস পাল বলেন, “মেদিনীপুর মেডিক্যাল ও রেল হাসপাতাল নিয়ে শহরের ৪জন মৃতের দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সকলেরই কিছু কো-মর্বিডিটি ছিল।”
মৃতদের বাদ দিয়ে শহরে বাকি যে ১৩জন পজ়িটিভ হয়েছেন তাঁদের ৬ জন রেল যোগে আক্রান্ত। তাঁদের মধ্যে সাঁজোয়াল ও জয়হিন্দ নগরের দুই রেলকর্মী রয়েছেন। রেল যোগে আক্রান্ত বাকি বামুনপাড়া, সাউথ ইন্দা, বুলবুলচটি ও খরিদার ৪জন রেল পরিবারের সদস্য। রেলের বাইরে শহরের সুভাষপল্লি পদ্মপুকুর, বারবেটিয়া, মহকুমা হাসপাতালের কোয়ার্টার, মালঞ্চ রোড, দেবলপুর, চাঁদমারি রেল কোয়ার্টার ও আরামবাটি মিলিয়ে ৭জন পজ়িটিভ হয়েছেন। শহরে আক্রান্তদের মধ্যে ৪ জন ষাটোর্ধ্ব ও ১জন অশীতিপর রয়েছেন।
মহকুমায় একদিনে ৪৩ জন করোনা পজ়িটিভ হয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যায় খড়্গপুরের পরেই দ্বিতীয় স্থানে থাকা দাঁতনে ১২জন ও তৃতীয় স্থানে থাকা পিংলায় ১১জন একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন।
গড়বেতায় ফের ৩ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এল। সেইসঙ্গে একসঙ্গে ১৫ জনের রিপোর্ট অমীমাংসিত এসেছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। পজ়িটিভ ৩ জনেরই অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়েছিল। এরমধ্যে একজন মহিলা।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)