প্রতীকী ছবি।
জেলায় নতুন করে আরও ছ’জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তার জেরে মেচেদায় বন্ধ হল একটি নার্সিংহোম এবং একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা অফিস।
বৃহস্পতিবার নতুন করে যে কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছে বল্লুক- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের এক প্রৌঢ়া। তিনি মেচেদার একটি ব্যাঙ্কে ক্যাশিয়ার হিসাবে কাজ করতেন। বুধবার অফিসে যাওয়ার সময় তিনি দুর্ঘটনায় শিকার হন। প্রথমে তাঁকে মেচেদার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। পরে অস্ত্রোপচারের জন্য কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের আগে করোনা পরীক্ষায় জানা যায়, প্রৌঢ়া করোনা আক্রান্ত।
শুক্রবার মেচেদা বাজারে ব্যাঙ্কের যে শাখায় প্রৌঢ়া কর্মরত ছিলেন সেটি বন্ধ করে দেওয়া নির্দেশ হয়। ওই ব্যাঙ্কের ১২ জন কর্মীকে বৃহস্পতিবার কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছিল। এ দিন তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে করোনা পরীক্ষার জন্য। দুর্ঘটনার পরে প্রৌঢ়াকে মেচেদার যে নার্সিংহোমে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেটিও এ দিন অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ওই নার্সিংহোমের এক চিকিৎসক-সহ চারজনকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। এ দিন ওই ব্যাঙ্কের শাখা অফিস ও নার্সিংহোম চত্বর জীবাণুমুক্ত করা হয়। এছাড়া, এদিন শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিভিন্ন এলাকার করোনা উপসর্গ থাকা ৪০ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, বুধবার চণ্ডীপুর করোনা লেভেল-১ হাসপাতালে মেচগ্রামের এক ব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। তাঁরা লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ এসেছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। তবে মৃত ব্যক্তির দেহ স্বাস্থ্য দফতরের করোনা নিয়মবিধি মেনে দাহ করা হয় বলে খবর। পাঁশকুড়া ব্লকের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক শচীন্দ্রনাথ রজক বলেন, ‘‘মেচগ্রামের মৃত ব্যক্তির লালারসের নমুনা মৃত্যুর আগেই সংগ্রহ করা হয়েছিল। ওই ব্যক্তির করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।’’