Coronavirus in Midnapore

সামাজিক সুরক্ষা যোজনার প্রচার মাস্কেও

বিধানসভা ভোটের আগে জঙ্গলমহলের জেলা ঝাড়গ্রামের বেশিরভাগ অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের সামাজিক যোজনার আওতায় আনার ব্যাপারে জোর দিচ্ছে রাজ্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২০ ০৩:৩১
Share:

সেই মাস্ক। নিজস্ব চিত্র

প্রিন্টেড মাস্কেই চলছে সরকারি প্রকল্প এবং করোনা ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বার্তার প্রচার। এমনই উদ্যোগ নিয়েছে শ্রম দফতর। এ জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে ঝাড়গ্রামের কয়েকজন অসংগঠিত ক্ষেত্রের দর্জিদের দিয়ে তৈরি করানো হয়েছে কাপড়ের ত্রি-স্তরীয় মাস্ক। সেখানে লেখা, ‘বিনামূ্ল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা, কোভিড-১৯, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন’। শ্রম দফতর সূত্রের খবর, টেক-সই এই মাস্কগুলি অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের দেওয়া হবে। ঝাড়গ্রাম জেলা শ্রম দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘জেলা শ্রম দফতরের এমন পরিকল্পনার বিষয়টি রাজ্য শ্রম দফতরকে জানানো হয়েছে। রাজ্য থেকে সবুজ সঙ্কেত মিললেই মাস্ক বিলি করা হবে।’’

Advertisement

বিধানসভা ভোটের আগে জঙ্গলমহলের জেলা ঝাড়গ্রামের বেশিরভাগ অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের সামাজিক যোজনার আওতায় আনার ব্যাপারে জোর দিচ্ছে রাজ্য। জেলায় অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিক রয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ। এ পর্যন্ত এক লক্ষ ১২ হাজার অসংগঠিত শ্রমিককে সামাজিক সুরক্ষা যোজনার আওতায় নিয়ে আসা গিয়েছে। চলতি বছরে আরও বেশি সংখ্যক অসংগঠিত শ্রমিককে প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শ্রম দফতরের এক আধিকারিক বলছেন, ‘‘যতটা সম্ভব বেশি সংখ্যায় অসংগঠিত শ্রম ক্ষেত্রের মানুষজনকে প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার পদক্ষেপ করা হয়েছে। তাই যোজনার প্রচারটাও জরুরি।’’

লকডাউনের আগে পর্যন্ত এক লক্ষ দু’হাজার অসংগঠিত শ্রমিকের নাম প্রকল্পে নথিভুক্ত হয়েছিল। লকডাউন পর্বে জেলায় ফেরা পরিযায়ী শ্রমিক ও কাজ হারানোদের মিলিয়ে ৯,৭৪৮ জনের নাম প্রকল্পে নথিভুক্ত করা হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষা যোজনার আওতায় নথিভুক্ত অসংগঠিত শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ৫৫ টাকা জমা করে রাজ্য সরকার। উপভোক্তাকে কোনও টাকা জমা দিতে হয় না। উপভোক্তার বয়স ৬০ বছর হলে সুদ-সহ জমানো টাকা ফেরত পাবেন তিনি। শুধু তাই নয়, উপভোক্তার দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হলে পরিবার পাবে এককালিন দু’লক্ষ টাকা এবং স্বাভাবিক মৃত্যু হলে পরিবার পাবে এককালিন ৫০ হাজার টাকা। প্রকল্পে নথিভুক্ত শ্রমিকদের সন্তানেরা মাধ্যমিক পরবর্তী উচ্চশিক্ষার জন্য বছরে ৩০ হাজার আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন। উপভোক্তা নিজের এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্যও আর্থিক সহায়তা পাবেন। প্রকল্পের আওতায় থাকা উপভোক্তাদের মধ্যে কেবলমাত্র নির্মাণ শ্রমিক ও পরিবহন শ্রমিকেরা ৬০ বছর বয়সের পরে প্রতি মাসে পেনশনও পাবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement