Coronavirus

গণ্ডিবদ্ধ এলাকা সংশোধনের দাবি

খড়্গপুর শহরের ১৮ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড গণ্ডিবদ্ধ হিসাবে ঘোষিত হয়েছে। সংক্রমিত ওই দুই ওয়ার্ডে কী ভাবে বিধি-নিষেধ কার্যকর করা হবে মঙ্গলবার সকাল থেকেই তার প্রস্তুতিতে নামে প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২০ ০৩:০৯
Share:

ছবি পিটিআই।

একাধিক রেলরক্ষী করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেই ঘিরে দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন এলাকা। এ বার রাজ্যের তরফে ঘোষিত জেলার পাঁচ গণ্ডিবদ্ধ এলাকার (কন্টেনমেন্ট জ়োন) দু’টিই রেলশহরে হওয়ায় বাড়তি সতর্ক প্রশাসন। গণ্ডিবদ্ধ এলাকা সংশোধনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

খড়্গপুর শহরের ১৮ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড গণ্ডিবদ্ধ হিসাবে ঘোষিত হয়েছে। সংক্রমিত ওই দুই ওয়ার্ডে কী ভাবে বিধি-নিষেধ কার্যকর করা হবে মঙ্গলবার সকাল থেকেই তার প্রস্তুতিতে নামে প্রশাসন। বেলা বাড়ার পরে কয়েকটি এলাকা পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। যদিও সর্বত্র ওই গার্ডরেল না দেওয়ায় সাধারন মানুষের যাতায়াতে রাশ টানা যায়নি। জেলা প্রশাসনের দাবি, মূলত আরপিএফ জওয়ানেরা আক্রান্ত হওয়ায় এই দুই ওয়ার্ড কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। শহরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের আরপিএফ ব্যারাক ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে রেলের নিভৃতবাস কেন্দ্রে ওই জওয়ানেরা ছিলেন। এই দুই এলাকার বাইরে ওই দুই ওয়ার্ডের বাকি অংশে কোনও করোনা আক্রান্তের হদিশ নেই। তবে দু’টি ওয়ার্ডকেই গণ্ডিবদ্ধ হিসাবে চিহ্নিত করায় এলাকাটি অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। তাই সংশোধন করে এলাকা ছোট করার প্রস্তাব রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী বলেন, “যেহেতু ওয়ার্ডের অন্যত্র করোনা আক্রান্ত নেই, তাই আমরা ওই দুই ওয়ার্ডের কন্টেনমেন্ট জ়োন সংশোধনের জন্য বলেছি।”

অবশ্য রাজ্যের সংশোধিত নির্দেশের অপেক্ষা না করে এ দিন থেকেই ওই দুই ওয়ার্ডে সম্পূর্ণ লকডাউন বিধি কার্যকর করার প্রস্তুতি শুরু হয়। দুই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন মহকুমাশাসক। এলাকার মানুষজন যাতে বাড়ি থেকে না বেরোন, দোকানপাট বন্ধ থাকে সে জন্য কাউন্সিলরদের নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। ওই রেল ওয়ার্ডের বাসিন্দারা যাতে খাদ্যসামগ্রী বাড়িতে বসে পেতে পারে সেই বন্দোবস্ত করতেও বলা হয়েছে। মহকুমাশাসক বলেন, “ওই দুই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরেরা যাতে এলাকায় নজর রাখেন তা বৈঠকে বলা হয়েছে। আমরা ওখানে খাদ্যসামগ্রীর হোম ডেলিভারিও চালু করতে বলেছি।”

Advertisement

পুলিশের পক্ষ থেকেও এ দিন গার্ডরেল দিয়ে এলাকা ঘিরে দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। যদিও ওই আরপিএফ ব্যারাক ও নিউ সেটলমেন্টের রেলের নিভৃতবাস কেন্দ্র আগে থেকেই ঘিরে দিয়েছিল প্রশাসন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসাবে আমরা ওই দুই ওয়ার্ডেই গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে ফেলছি। এর পরে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যা করণীয় তা করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement