Dilip Ghosh

করোনা-তথ্য চাপছে রাজ্য: দিলীপ  

মেদিনীপুরের কর্মসূচি সেরে  খড়্গপুরে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর ও খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২০ ০১:৩৮
Share:

মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষের হাতে ‘পিপিই সেট’ তুলে দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র 

করোনা নিয়ে সত্য তথ্য গোপন করছে রাজ্য সরকার। দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের। একই সঙ্গে তাঁর আশঙ্কা, তথ্য গোপন করা হলে বিমার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন অনেকে।

Advertisement

সোমবার সকালে মেদিনীপুরে এসে প্রথমে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে যান দিলীপ। সেখান থেকে যান মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালে কিছু পিপিই (পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট) দেন সাংসদ। মেদিনীপুর সফরের ফাঁকে সাংবাদিকদের দিলীপ বলেন, ‘‘করোনায় কতজন আক্রান্ত, কতজন মারা গিয়েছেন, সে নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করা হয়েছে। সত্য তথ্য গোপন করা হচ্ছে। ডাক্তারদের বলা হয়েছে, মারা গেলে নিউমোনিয়া লিখতে হবে। ডেঙ্গির সময়ে যেমন অজানা জ্বর লিখতে বলা হয়েছিল। সে জন্য সত্য সামনে আসছে না।’’ এরপরই বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, ‘‘আমার জানা, কমপক্ষে ১০ জন লোক মারা গিয়েছেন। আগে রাজ্য সরকার বলেছিল ৭। পরে হয়ে গিয়েছে ৩। আমি জানি না, ৪ জন বেঁচে উঠেছেন কি না! এ ভাবে সত্য তথ্য গোপন করলে মানুষের মনের মধ্যে ভয় বাড়বে।’’ ঘটনাচক্রে এ দিন দুপুরে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডেঙ্গি সংক্রান্ত হিসেব দিয়েছেন।

এ দিন দিলীপ বলেন, ‘‘কেন্দ্র সরকার এত এত টাকা দিচ্ছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১,৭০০ কোটি টাকা রাজ্য সরকারকে দিয়ে দিয়েছে। সেটা স্বীকার করা হচ্ছে না। সেই টাকা কোথায় গেল জানা যাচ্ছে না।’’ সত্য গোপনের অসুবিধা কোথায় তা-ও ব্যাখ্যা করেছেন দিলীপ। বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়, ‘‘স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তারদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৫০ লক্ষ টাকা বিমা করেছে। রাজ্য সরকারও ১০ লক্ষ টাকা বিমা করেছে। কিন্তু এই টাকা পাবে কি করে লোকে? যদি পরীক্ষাই না হয়? করোনাভাইরাসে মারা যাওয়ার কথা স্বীকার করা না হলে তো ক্ষতিপূরণই মিলবে না।’’

Advertisement

মেদিনীপুরের কর্মসূচি সেরে খড়্গপুরে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রথমে যান শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে কয়েকজন দুঃস্থকে খাদ্যসামগ্রী বিলি করেন। পরে তিনি আসেন গোলবাজারে দলীয় এক নেতার বাড়িতে। দিলীপকে ঘিরে কর্মীদের জমায়েত শুরু হওয়ায় গোলবাজারে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ। ওই কর্মীর বাড়ি থেকে বেরনোর সময় জমায়েত যাতে না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য জন্য দিলীপকে আবেদন জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। অবশ্য তিনি কাউকে ডাকেননি দাবি করে রেল বাংলোয় চলা নিজের কার্যালয়ে চলে যান দিলীপ। সেখান থেকেই এগরার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement