করোনা প্রতিরোধে দু’জনের মধ্যে ন্যূনতম এক মিটার দূরত্ব রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। মেদিনীপুর মেডিক্যালের বহির্বিভাগে অবশ্য রোগীর ভিড়ে সে নিয়ম পালনের বাস্তবতা নেই। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘অসুস্থ হলে মানুষ হাসপাতাল আসবেনই। তাঁদের তো ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’’ ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
২৯ থেকে ৪৮। পশ্চিম মেদিনীপুরে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা- সংক্রমণের সন্দেহভাজন। সকলেই বিদেশ ফেরত।
রাজ্য থেকে বিদেশ ফেরতদের নতুন এক তালিকা এসে পৌঁছেছে জেলায়। সেই সূত্রে ওই তালিকায় নাম থাকা ১৯ জনের উপরে নতুন করে নজরদারি শুরু হয়েছে বলে প্রশাসনের এক সূত্রে খবর। সকলেই ‘গৃহ নজরদারি’তে রয়েছেন। তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতির উপরেও নজর রেখেছে স্বাস্থ্য দফতরের দল।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা মানছেন, ‘‘নতুন করে কয়েকজনের উপরে নজরদারি শুরু হয়েছে। সকলেই বিদেশ থেকে ফিরেছেন। তালিকায় নাম থাকা সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।’’ জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, ‘‘জেলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।’’
প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, করোনা- সংক্রমণের সন্দেহে পশ্চিম মেদিনীপুরে এখনও পর্যন্ত নজরদারি চলেছে ৪৮ জনের উপরে। এরমধ্যে ১৬ জন ২৮ দিন ‘গৃহে নজরদারি’তে থেকেছেন। তাঁদের আর ওই সংক্রমণের আশঙ্কা নেই। বাকি ৩২ জন এখনও নজরদারিতে রয়েছেন। এরমধ্যে মেদিনীপুর মেডিক্যালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রয়েছেন ১ জন। তাঁর জ্বর রয়েছে। সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন এই যুবক। বাকি ৩১ জন ‘গৃহ নজরদারি’তে রয়েছেন। এর মধ্যেই রয়েছেন নতুন করে আসা তালিকায় নাম থাকা ওই ১৯ জন।
প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, তালিকায় ওই ১৯ জনের মধ্যে চিন থেকে ফিরেছেন ২ জন, জাপান থেকে ১ জন, তাইল্যান্ড থেকে ১ জন, জার্মানি থেকে ২ জন, সিঙ্গাপুর থেকে ১ জন, আমেরিকা থেকে ২ জন, দুবাই থেকে ২ জন, বাংলাদেশ থেকে ৫ জন এবং মালয়েশিয়া থেকে ১ জন। তাঁদের মধ্যে ৯ জন মেদিনীপুরের বাসিন্দা। ৭ জন খড়্গপুরের বাসিন্দা। ২ জন দাসপুরের বাসিন্দা এবং ১ জন ডেবরার বাসিন্দা। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রের দাবি, পশ্চিম মেদিনীপুরে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা এখনও শূন্যই রয়েছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকও বলেন, ‘‘সন্দেহভাজন কয়েকজনের লালারস পরীক্ষা হয়েছে। সকলেরই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।’’ তবে যে ভাবে জেলায় সন্দেহভাজনের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে তা অবশ্য উদ্বেগের ঠেকছে অনেকের কাছেই।
সংক্রমণ এড়াতে বিদেশ থেকে দেশে ফেরা শুরু হয়েছে। সেই সূত্রেই জেলায় সন্দেহভাজন বাড়ছে।