চলছে মাস্ক বিলি। নিজস্ব চিত্র
করোনা আতঙ্কে কাঁপছে গোটা দেশ। ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে সকলেই জমায়েত এড়িয়ে চলছেন। প্রায় বন্ধ রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মসূচি। এই পরিস্থিতিতে আমজনতার সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখতে মাস্ক বিলিকে হাতিয়ার করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
গত কয়েক দিনে দেশ জুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ঠেকাতে বেশ কিছু দাওয়াই দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তার মধ্যে প্রধান দুটি হল— মাস্কের ব্যবহার এবং সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া। এখন ওই দুটি জিনিসকে হাতিয়ার করেই মাঠে নেমে পড়েছেন রাজনৈতিক নেতারা। করোনা আতঙ্ক এ রাজ্যের পুরসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও জন সংযোগ বজায় রাখছেন তাঁরা।
কোলাঘাটের তৃণমূল ব্লক কার্যকরী সভাপতি টুটুল মল্লিক গত দু’দিনে বিলি করেছেন এক হাজার মাস্ক ও সাবান। আরও মাস্ক বিলির ইচ্ছা ছিল। তবে চাহিদা অনুযায়ী মাস্ক না মেলায় আপাতত বন্ধ ওই কর্মসূচি। টুটুলের কথায়, ‘‘এক হাজার মাস্ক বিলি করেছি। আরও এক হাজার অর্ডার করেছি। এখনও হাতে পাইনি।পেলেই ফের বিলি শুরু করব।’’ পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সহ সভাপতি নন্দকুমার মিশ্র বলেন, ‘‘পুরসভার কর্মীদের মাস্ক বিলি করা হয়েছে। দলীয়ভাবে বিভিন্ন এলাকায় মাস্ক বিলি করার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।’’
শনিবার তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র উদ্যোগে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দু-হাজার শ্রমিকদের হাতে মাস্ক ও সাবান তুলে দেওয়া হয়। এদিন ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের সোনাপেত্যা টোল প্লাজায় মাস্ক ও সাবান বিলি কর্মসূচি পালন করে তৃণমূল।
শাসক দলের থেকে পিছিয়ে নেই বিজেপি এবং বামেরাও। শনিবার এবং রবিবার এই দু’দিন পাঁশকুড়া, মেচেদা ও কোলাঘাটের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির উদ্যোগে মাস্ক বিলি কর্মসূচি পালিত হবে। কোথাও বাড়ি বাড়ি গিয়ে, কোথাও আবার পথচারীদের হাতে মাস্ক তুলে দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা। পাঁশকুড়ার বিজেপি নেতা সিন্টু সেনাপতির কথায়, ‘‘রাজনীতি মানেই তো মানুষের পাশে থাকা। এই সঙ্কটময় মুহূর্তে আমরা মানুষের হাতে মাস্ক ও সাবান তুলে দিচ্ছি।’’ মাস্ক বিলি করছে সিপিএম। পাঁশকুড়া পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা ইব্রাহিম আলি বলেন, ‘‘আমরা ইতিমধ্যে এক হাজার মাস্ক ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিলি করেছি। আরও পাঁচ হাজার মাস্কের বরাত দেওয়া রয়েছে।’’
সব মিলিয়ে করোনা আতঙ্কের মধ্যেও মাস্কের মধ্য দিয়ে জন সংযোগ সেরে নিতে নিয়ে চাইছেন অধিকাংশ রাজনৈতিক দল।