ফাইল চিত্র
করোনা সংক্রমণের সতর্কতায় ক্লাস বন্ধের নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সেই সঙ্গে হস্টেল না ছাড়ার নির্দেশও রয়েছে খড়্গপুর আইআইটিতে। তবে ক্লাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অধিকাংশ পড়ুয়াই হস্টেল ছেড়ে বাড়ির পথে।
শুক্রবার রাতেই আইআইটি কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব বিভাগে ক্লাস বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। কোনও জমায়েত, আলোচনাসভা ও কর্মশালা করা যাবে না বলেও ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়। তারপর শনিবার সকাল থেকেই মূল প্রতিষ্ঠান ভবনের সিকিউরিটি অফিসে পড়ুয়াদের ভিড় জমে। বিটেক পড়ুয়াদের একাংশ সিকিউরিটি অফিসে গিয়ে আবেদন জমা দিয়ে বাড়ি চলে যান। যদিও নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে শিক্ষকেরা অনলাইনে ক্লাস নিতে পারেন। পড়ুয়ারা যাতে হস্টেল ছেড়ে চলে না যান, সে কথাও বিজ্ঞপ্তিতে লেখা ছিল।
আইআইটি-র ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অয়ন চক্রবর্তী বলেন, “করোনার সতর্কতায় আমাদের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। শুধুমাত্র অনলাইনে ক্লাসের কথা বলা হয়েছে। বাবা-মা হস্টেলে না থেকে বাড়িতে চলে যেতে বলেছেন।” এ প্রসঙ্গে আইআইটি-র রেজিস্ট্রার ভৃগুনাথ সিংহ বলেন, “যদি কেউ প্রতিষ্ঠানের বাইরে যেতে চান অথবা বাইরে থেকে প্রতিষ্ঠানে আসতে চান তবে অনুমতি নিতে হবে। সেই নিয়ম মেনে গেলে সমস্যা নেই।”
অনেক পড়ুয়া অবশ্য এখন হস্টেলে রয়েছেন। কী করবেন, সহপাঠীদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। ভূতত্ত্ব বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র বিহারের মজফ্ফরপুরের আনসু কাশ্যপ যেমন বললেন, “প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের মধ্যে ছুটি থাকলেই বাড়ি যাওয়ার একটা প্রবণতা থাকে। তাই ক্লাস বন্ধ থাকায় ওরা বেশি করে বাড়িতে যাওয়ার জন্য আবেদন করছে। আমরাও দু’-তিনদিন পরে বাড়ি যাব ভাবছি।” ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড ইলেট্রিক্যাল কমিউনিকেশনের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র কলকাতার আদিসদীপ্ত মণ্ডলের কথায়, “অনেকেই বাড়ি যাওয়ার জন্য সিকিউরিটি অফিসে আবেদন জমা দিচ্ছে শুনছি। কিন্তু আমি এখনও বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা করিনি।”
আইআইটি-র একদল গবেষক পড়ুয়া আবার করোনা সচেতনতার প্রচারে নেমেছেন। গবেষক ছাত্র বিশ্বরূপ মণ্ডল বলেন, “পরিবেশ সচেতনতায় আমাদের একটি সংগঠন রয়েছে। ক্লাস বন্ধ থাকায় আমরা আপাতত সেই সংগঠনের পক্ষ থেকে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের করোনা সতর্কতা নিয়ে ভিডিয়ো তৈরি করে ইউটিউবে দিচ্ছি।”