মঙ্গলবারও মেদিনীপুর কালেক্টরেটে বায়োমেট্রিকে হাজিরা দিতে দেখা গিয়েছে। নিজস্ব চিত্র
করোনা সংক্রমণের আতঙ্কের জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরে এল হাজিরা খাতা। তবে পাশের জেলা ঝাড়গ্রাম অবশ্য মঙ্গলবার পর্যন্ত বায়োমেট্রিকেই ভরসা রেখেছে।
সোমবার বিকেলেই পশ্চিম মেদিনীপুরের অনেক সরকারি দফতরে হাজিরা খাতা পৌঁছে গিয়েছিল। মঙ্গলবার কালেক্টরেটের প্রায় সব দফতরেই খাতায়- কলমে সই করে ঢোকেন কর্মচারীদের অনেকে। তবে এ দিনও কয়েকজন বায়োমেট্রিক মেশিনে হাজিরা দিয়েছেন। তাঁরা দফতরের নির্দেশের কথা ঠিকঠাক জানতেন না বলে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলা কালেক্টরেট ছাড়াও মহকুমাশাসকের দফতর, পুরসভা, জেলা পরিষদ, ব্লক অফিসগুলিতেও হাজিরা খাতা ফিরেছে। এই জেলায় আপাতত ৩১ মার্চ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক হাজিরা স্থগিত থাকবে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে ১ এপ্রিল থেকে ফের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা চালু করা হতে পারে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। সংক্রমণ এড়াতে বিভিন্ন দফতরে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহারও শুরু হয়েছে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, ‘‘করোনা- আতঙ্কের পরিস্থিতির জেরে সাময়িকভাবে হাজিরায় বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা স্থগিত করা হয়েছে।’’