Coronavirus in India

বড়মা জেলার রোগীতেই ঠাসা, আক্রান্ত নয়া ৬

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কোলাঘাটের রাইন এলাকার এক পরিযায়ী শ্রমিককে বড়মায় পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২০ ০২:১৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

তিন জেলার আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য তৈরি হয়েছিল পাঁশকুড়ার মেচগ্রাম করোনা হাসপাতাল। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে, হাসপাতালে কেবল একটি জেলার আক্রান্তদের সংখ্যাই বেড়ে চলেছে। আর তা হল পূর্ব মেদিনীপুর।

Advertisement

বড়মা হাসপাতাল সূত্রের খবর, শুক্রবারের হিসাব মতো, সেখানে এখন ৩০ জন আক্রান্ত চিকিৎসাধীন। যার মধ্যে ২৫ জনই পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা। গত কয়েকদিনে ওঅ হাসপাতালে পূর্ব মেদিনীপুরের ১০ জনের বেশি আক্রান্তকে ভর্তি করানো হয়েছে। শুধু শুক্রবারই সেখানে ভর্তি হয়েছেন কোলাঘাট এবং মহিষাদলের ছ’জন আক্রান্ত।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কোলাঘাটের রাইন এলাকার এক পরিযায়ী শ্রমিককে বড়মায় পাঠানো হয়েছে। এ দিন নতুন করে আরও পাঁচজনের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাস। এঁদের মধ্যে কোলাঘাট ব্লকের বৃন্দাবনচক এলাকার একজন, পুলশিটা এলাকার একজন এবং মহিষাদলের তিনজন রয়েছেন। করোনা আক্রান্তের হদিস মেলায় পাঁশকুড়ার প্রতাপপুর-২ এবং মাইশোরা এলাকাটিকে ইতিমধ্যে গণ্ডিবদ্ধ (কনটেনমেন্ট জ়োন) এলাকা হিসাবে ঘোষণা করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। নতুন করে যেভাবে জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, তাতে জেলায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকার সংখ্যা আরও বাড়বে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

কাঁথি-১ ব্লক এবং রামনগর-১ ব্লকের দুই বাসিন্দাকে অন্য চিকিৎসার জন্য কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তাঁদের শরীরেও করোনার উপস্থিতি সামনে এসেছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, কাঁথি শহরের এক মহিলা গলব্লাডারে পাথর জমা হওয়ায় কয়েকদিন আগে মেচেদা বাইপাস সংলগ্ন একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে সুস্থ হয়ে ওই মহিলা বাড়ি ফিরে যান। পরে ফের অসুস্থ হওয়ায় তিনি ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হন। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতায় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। সেখানেই বৃহস্পতিবার মহিলার লালারসের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট মিলেছে।

কাঁথির নার্সিংহোম সিল করা হয়েছে। সেখানে ১৬ জন কর্মী এবং চিকিৎসকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করার পাশাপাশি তাঁদের হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। ওই মহিলার পরিবারের বাকি সদস্য এবং তাঁর বাড়িতে যাঁরা ভাড়া থাকতেন, তাঁদেরও লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

আবার, রামনগর-১ ব্লকের এক প্রৌঢ় হাত-পা ভেঙেছিল। তাঁকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাঁর করোনা ধরা পড়ে। উল্লেখ্য, আক্রান্ত ওই প্রৌঢ়ের ছেলে সপ্তাহ দুয়েক আগে বেঙ্গালুরু থেকে বাড়ি ফিরে ছিল বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার রাতেই ওই আক্রান্তের পরিবারের ছ’জন সদস্যকে চণ্ডীপুরের করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় বলেন, ‘‘কলকাতায় চিকিৎসা করাতে যাওয়া জেলার এক প্রৌঢ় এবং এক মহিলা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। উভয় পরিবারের লোকেদের এবং আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা লোকেদের খোঁজ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।’’

অন্যদিকে, করোনা মুক্ত হয়ে এদিন বড়মা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে আট জন। এঁদের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের সাত এবং হলদিয়ার একজন রয়েছেন। বড়মা হাসপাতালের টেকনিক্যাল অফিসার দেবোপম হাজরা বলেন, ‘‘এ দিন নতুন করে পাঁচ জন করোনা আক্রান্তকে বড়মায় ভর্তি করানো হয়েছে। তবে সুস্থ হওয়া আটজনকে এ দিনই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement