প্রতীকী ছবি
পনেরো দিনের মাথায় ফের করোনা আক্রান্ত রেলশহরের এক বাসিন্দার মৃত্যু হল। শনিবার ভোরে খড়্গপুরের ঝুলির বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত ওই রেলকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বছর পঁয়ষট্টির বৃদ্ধ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
গত ৪ জুন তিনি হৃদ্রোগের সমস্যা নিয়ে কলকাতায় যান। সে দিনই লালারসের নমুনা নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই দিনই দ্রুত হৃদ্যন্ত্রে অস্ত্রোপচার করতে হয়। ৫ জুন রাতে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তারপর কলকাতাতেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে তিনি করোনাতেই মারা গিয়েছেন, না অন্য কারণে তা স্পষ্ট নয়। জেলার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস পাল বলেন, “ঝুলির ওই বৃদ্ধ করোনা আক্রান্ত হন। তবে হৃদ্রোগের সমস্যা নিয়ে কলকাতায় গিয়েছিলেন। তাই মৃত্যুর কারণ ঠিক কী তা এখনও স্পষ্ট নয়।”
গত ২৯ মে রাতে শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দেবলপুরে করোনা আক্রান্ত বছর পঁয়তাল্লিশের এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়। তিনি শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে মেদিনীপুরের করোনা হাসপাতালে (লেভেল-২) চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুর পরে রিপোর্ট এলে জানা যায় তিনি করোনা পজ়িটিভ। ওই প্রৌঢ়ের দু’জন পরিজনও পজ়িটিভ হন। ঝুলির বৃদ্ধের বৃদ্ধের করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পরে ৬ জুন থেকে তাঁর পরিবারের ৭ জনকে গৃহ নিভৃতবাসে থাকতে বলা হয়েছিল। এলাকাটি গন্ডিবদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু সাতদিন পেরিয়ে গেলেও করোনা পরীক্ষা হয়নি।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত ১১ জুন ওই বৃদ্ধের পরিজনেদের করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হলেও তাঁরা লালারসের নমুনা দেননি। অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস বলেন, “শুক্রবার ওঁরা হাসপাতালে গিয়ে লালারসের নমুনা দেবেন বলেছিলেন। না দেওয়ায় শনিবার নমুনা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে বৃদ্ধের মৃত্যু হওয়ায় এ দিনও নমুনা সংগ্রহ হয়নি। তবে হবে।” মৃত বৃদ্ধের ভাইঝির বক্তব্য, “আমার কাকাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা চলছিল। এ দিন হঠাৎ করে কাকার মৃত্যুর খবর জানতে পারি। তাই এমন মানসিক পরিস্থিতিতে লালারসের নমুনা দিতে যেতে পারিনি। তিন-চার দিনের মধ্যে অবশ্যই নমুনা দেব।”