প্রতীকী ছবি।
কোনও অনুমতি ছাড়া স্কুলের মিড-ডে মিলের চাল ত্রাণ হিসাবে বিলির চেষ্টার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। মহিষাদলের ব্লকের গড় কমলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ই-মেলে মহিষাদলের বিডিও’র কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই এলাকার সুন্দরা স্টেট প্ল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে একটি ভ্যানে করে তিন বস্তা চাল বার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এলাকাবাসীর সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা ভ্যান চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সেই সময় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক তথা স্থানীয় বাসিন্দা চন্দন রায় জানান, এই চাল বিডিও অফিসে যাচ্ছে। কিন্তু এলাকার বাসিন্দারা শিক্ষককে চেপে ধরতেই তিনি জানান, বিডিও অফিসে নয়, কোনও সরকারি অনুমতি ছাড়াই পঞ্চায়েত প্রধানের নির্দেশে তিনি চাল পঞ্চায়েত অফিসে নিয়ে য়াচ্ছিলেন। অভিযোগ, ওই মিড ডে মিলের চাল প্রধান নিজের নাম করে এলাকাবাসীকে দান করার পরিকল্পনা করেছিলেন।
পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে চম্পট দেন ভ্যানচালক। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে ভ্যান-সহ তিন বস্তা চাল উদ্ধার করে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ মহিষাদল থানায় গেলেও পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। এদিন গ্রামবাসী ই-মেলে স্থানীয় বিডিও’র কাছে অভিযোগ জানান। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তনুশ্রী মাজি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত প্রধান তথা স্কুলের সভাপতি প্রদীপ জানা পার্শ্ব শিক্ষক চন্দনের মাধ্যমে চাল চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। তাই আমি চাল দিয়েছিলাম। তবে তাঁকে বলেছিলাম যে, দু-একদিনের মধ্যে ওই চাল ফেরত পাঠাতে হবে।’’
গড়কমলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রদীপ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’ গ্রামবাসীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে মহিষাদলের বিডিও জয়ন্তকুমার দে বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।’’