CHHATRADHAR MAHATO

নিয়তিকে ‘বঙ্গজননী’ সম্বোধনে বিতর্ক

সেখানেই কর্মীদের কাছ থেকে ‘বঙ্গজননী’ ডাক শুনলেন পশ্চিমবঙ্গ সমাজকল্যাণ পর্ষদের সদস্য নিয়তি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

লালগড় শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:১০
Share:

আশাকর্মীর হাতে শংসাপত্র তুলে দিচ্ছেন নিয়তি মাহাতো। নিজস্ব চিত্র

পিছনে টাঙানো ছবিতে হাসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছোট্ট অনুষ্ঠানে আশাকর্মীদের সম্মান জানাচ্ছেন নিয়তি মাহাতো। তুলে দিচ্ছেন মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার, শংসাপত্র। ওই মঞ্চেই তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতোর স্ত্রী নিয়তিকে ‘বঙ্গজননী’ হিসেবে পরিচয় দিলেন কর্মীরা।
মঙ্গলবার লালগড় ব্লক তৃণমূলের উদ্যোগে পঞ্চায়েত সমিতির সভাঘরে ব্লকের ‘করোনা যোদ্ধা’ ১৩০ জন আশাকর্মীকে সম্মান জানানো হল। সেখানেই কর্মীদের কাছ থেকে ‘বঙ্গজননী’ ডাক শুনলেন পশ্চিমবঙ্গ সমাজকল্যাণ পর্ষদের সদস্য নিয়তি। পাশে তখন উপস্থিত ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শ্যামল মাহাতো, লালগড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পরিতোষ মণ্ডলেরা।
যথারীতি তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয়েছে শোরগোল। কারণ, সাধারণত দলের অন্দরে ‘বঙ্গজননী’ বলতে সর্বময় কত্রী মমতাকে বোঝেন নেতা, কর্মীরা। গত বছর মে মাসে নৈহাটির এক সভায় মহিলা তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে বঙ্গজননী বাহিনী গড়ার ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দায়িত্ব দিয়েছিলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। তবে কি নিয়তি ওই বাহিনীর কোনও পদ পেলেন? কারণ, জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর উজ্জ্বল দত্ত বলেন, ‘‘এদিন তৃণমূলের ‘বঙ্গজননী’রা বিভিন্ন ব্লকে আশাকর্মীদের সম্মান জানিয়েছেন।’’ তবে জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, ‘‘বঙ্গজননী বাহিনীর জেলার নেত্রী কেউ আছেন কি-না জানা নেই।’’
একসময় ছত্রধর ঘনিষ্ঠ শ্যামল বলছেন, ‘‘নিয়তিবৌদি নিজে লড়াই সংগ্রামের প্রতীক। সেই কারণে এলাকার কর্মীরা তাঁকে এমন বিশেষণ দিয়েছেন।’’ আর যাঁকে নিয়ে বিতর্ক সেই নিয়তির কথায়, ‘‘কর্মীরা আবেগে হয়তো এমন বলছেন। তবে বিজেপি-র অপপ্রচারের মোকাবিলা করার জন্য এলাকার মহিলাদের নিয়ে বঙ্গজননী বাহিনী গড়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি। জেলায় ওই বাহিনীর শীর্ষপদে কে থাকবেন সেটা দলনেত্রী ঠিক করবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement