বকেয়া টাকা মেটানোর দাবিতে অনশন ঠিকাদারের

কাজের বরাত দিয়েও প্রাপ্য মেটায়নি দফতর— এই অভিযোগে দফতরের সামনেই অনশনে বসলেন এক ঠিকাদার। ঘটনাটি মেদিনীপুরের। পূর্ত দফতরের অবশ্য দাবি, ওই ঠিকাদার কিছু কাজ বাকি রেখেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৫৪
Share:

কাজের বরাত দিয়েও প্রাপ্য মেটায়নি দফতর— এই অভিযোগে দফতরের সামনেই অনশনে বসলেন এক ঠিকাদার। ঘটনাটি মেদিনীপুরের। পূর্ত দফতরের অবশ্য দাবি, ওই ঠিকাদার কিছু কাজ বাকি রেখেছেন। বাকি প্রাপ্য সব টাকাই মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি দফতরের সামনে এমন অনশনের নজির মেদিনীপুরে বেশি নেই। কার্তিক ধর নামে ওই ঠিকাদার বলেন, “বাধ্য হয়ে অনশনে বসেছি। প্রাপ্য না- মেটানো পর্যন্ত এই অনশন চলবে।”

Advertisement

মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দনগরের বাসিন্দা কার্তিকবাবুর ঠিকাদারি ব্যবসা রয়েছে। লালগড় কলেজ ও রামগড় পলিটেকনিক কলেজ নির্মাণের বরাত তিনিই পান। কার্তিকবাবুর দাবি, দু’টো কাজই অনেক দিন আগে শেষ হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলেজের উদ্বোধন করেছেন। পঠনপাঠনও শুরু হয়ে গিয়েছে। অথচ, গত দু’বছর ধরে তাঁর প্রাপ্য টাকা মেটায়নি পূর্ত দফতর। কাজের বরাত দিয়েছিল পূর্ত দফতরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ডিভিশন।

কার্তিকবাবু বলেন, “দু’বছর আগে কলেজ তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ২০১৪ সালের জুলাইতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধনও করেছেন। এখনও প্রাপ্য মেটানো হয়নি। বারবার পূর্ত দফতরে দরবার করেছি। সুরাহা হয়নি। বরং পুলিশের ভয় দেখানো হয়েছে।” এই ঠিকাদারের দাবি, তিনি এখনও প্রায় দু’কোটি টাকা পাবেন দফতরের কাছ থেকে। পুলিশের ভয় দেখানোর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পূর্ত দফতর। দফতরের এগ্‌জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র মুকুল মাঝতিয়া বলেন, “উনি যে সব অভিযোগ করছেন সবই মিথ্যা। দফতরে এসে উনিই বরং আমায় ধমকে গিয়েছেন। রামগড় পলিটেকনিক কলেজ নির্মাণের কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। যতটা কাজ উনি করেছেন, তার প্রাপ্য সব টাকাই ওঁনাকে মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

দফতরের এক সূত্রে খবর, ফের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করা হবে। পরিদর্শন শেষে যদি দেখা যায়, ঠিকাদারের আরও কিছু টাকা প্রাপ্য, তখন তা দিয়ে দেওয়া হবে। যদি দেখা যায়, বাড়তি টাকা দেওয়া হয়েছে, তখন ঠিকাদারের কাছ থেকে বাড়তি টাকা ফেরত চাওয়া হবে। মেদিনীপুরের ডাকবাংলো রোডে রয়েছে পূর্ত দফতরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ডিভিশনের অফিস। এ দিন থেকে এই অফিসের সামনেই অনশনে বসেছেন কার্তিকবাবু। এই ঠিকাদারের দাবি, “অফিস গেটের সামনে এই অনশন লাগাতার চলবে।”

দেহ উদ্ধার। হলদি নদীতে তলিয়ে যাওয়া ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হল তিন দিন পর। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ রবীন দোলইয়ের দেহ উদ্ধার হয় নন্দীগ্রামের কাছ থেকে। গত রবিবার নৌকো উল্টে তলিয়ে যান রবীন ও তাঁর বন্ধু দেবাশিস দাস। দেবাশিসের দেহ আগেই উদ্ধার হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement