প্রস্তুতি: চলছে পার্ক তৈরির কাজ। নিজস্ব চিত্র
দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নতুন পার্ক তৈরি হচ্ছে শালবনিতে। ব্লক সদরে একফালি জায়গার ওপরই এই পার্ক গড়ে উঠছে। পার্কের কাজ প্রায় শেষের পথে।
পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের বরাদ্দ অর্থে শালবনি ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে প্রায় দু’একর জায়গায় নতুন এই পার্ক গড়ে উঠছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, পার্কের কাজের জন্য প্রায় ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। পার্ক ঘেরার কাজের জন্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। গাছ লাগানো-সহ কয়েকটি ক্ষেত্রে টাকা আসবে একশো দিনের প্রকল্প থেকে।
শালবনির বিডিও পুষ্পল সরকারের কথায়, “এই পার্ক সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। দ্রুতই সব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে।” শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহের কথায়, “এরফলে ব্লক সদরে একটা বেড়ানোর জায়গাও হল। আশা করি, এলাকার মানুষ এখানে আসার ব্যাপারে উৎসাহিত হবেন।”
পার্কে থাকবে নানা ফুলের গাছ, বসার জায়গা, ফোয়ারা, আলোকসজ্জা প্রভৃতি। শুধু ফুলের নয়, ফলেরও বাগানও থাকার কথা। থাকছে শিশুদের খেলার সরঞ্জামও।
শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপালবাবু বলছিলেন, “এই এলাকায় পার্ক গড়ে ওঠার ফলে পর্যটনেরও প্রসার হবে। ছুটির দিনে অনেকে এখানে আসতে পারেন। বিশেষ করে সপ্তাহান্তে। পার্কে আসা মানুষজনের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে জন্য সব রকম পরিকাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহের ব্যবস্থাও থাকছে।”
মেদিনীপুরে কয়েকটি পার্ক রয়েছে। জেলার সদর শহরের গোপগড় পার্ক, ক্ষুদিরাম পার্ক, পুলিশ লাইন পার্কের পাশাপাশি খড়্গপুরের হিজলি, সাঁকরাইলের দুর্গাহুড়িতে বড় পার্ক রয়েছে। বিকেল হলেই এই পার্কগুলিতে ভিড় জমে। চন্দ্রকোনা রোডের পরিমল কানন পার্কটিও বেশ বড়। গোয়ালতোড়ে রূপারঘাঘরা, মেদিনীপুর গ্রামীণে চাঁদড়া, গুড়গুড়িপাল, মণিদহেও পার্ক রয়েছে। যদিও শালবনিতে কোনও পার্ক না থাকায় সমস্যায় পড়ত খুদেরা। এ বার অবশ্য সেই চাহিদা মিটতে চলেছে।