কংগ্রেসের ক্ষয় নেই, সওয়াল প্রদীপদের

দল ছেড়েছেন পাঁচ কাউন্সিলর। তাঁদের একজন আবার দলের প্রদেশ কমিটির সদস্য ছিলেন। খড়্গপুরে দলের এই বিপর্যয় মোকাবিলায় এ বার প্রদেশ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসল কংগ্রেস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৬ ০১:৪৭
Share:

খড়্গপুরে কংগ্রেসের কর্মিসভা। —নিজস্ব চিত্র।

দল ছেড়েছেন পাঁচ কাউন্সিলর। তাঁদের একজন আবার দলের প্রদেশ কমিটির সদস্য ছিলেন। খড়্গপুরে দলের এই বিপর্যয় মোকাবিলায় এ বার প্রদেশ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসল কংগ্রেস।

Advertisement

রবিবার গোলবাজারে শহর কংগ্রেস কার্যালয়ে সংলগ্ন একটি হলে ওই কর্মী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন সাংসদ সোমেন মিত্র, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জ্ঞানসিংহ সোহন পাল, কংগ্রেসের শহর সভাপতি অমল দাস প্রমুখ। প্রাক্তন পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডে-সহ পাঁচ কাউন্সিলরের দলত্যাগের পরেও কংগ্রেস যে অটুট রয়েছে তা বোঝাতেই এই বৈঠক। দল ভাঙানোর জন্য তৃণমূলের সমালোচনার পাশাপাশি কংগ্রেস নেতারা দলত্যাগীদের ‘বেইমান’, ‘ঘর শত্রু বিভীষণ’ বলে কটাক্ষ করেন। আর দলের পাশে থাকা কর্মীদের সম্পদ বলে প্রশংসা করা হয়। এ দিন প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে আমরা এখানে বড় সভা করে প্রমাণ করে দেব খড়্গপুরের মানুষ কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে। কংগ্রেসকে শেষ করার হিম্মত বিজেপি ও তৃণমূলের নেই।’’ চাচার হারের জন্যও এ দিন দলত্যাগীদের দুষেছেন প্রদেশ নেতৃত্ব। সোমেনবাবুর কটাক্ষ, ‘‘গত নির্বাচনে বহিঃশত্রুদের আক্রমণে আমাদের কোনও ক্ষতি হত না যদি এই শহরে ঘর শত্রুরা না থাকত। তবে কংগ্রেসের ক্ষয় নেই। পাঁচ জন চলে গেলে কংগ্রেসে বিপর্যয় হবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement