প্রতীকী ছবি।
রাজনৈতিক হানাহানিতে তেতে উঠল দেবের গ্রাম।
ঘাটালের অভিনেতা-সাংসদ তৃণমূলের দীপক অধিকারী ওরফে দেবের পৈতৃক বাড়ি কেশপুরের মহিষদা গ্রামে সোমবার সন্ধ্যায় আক্রান্ত হলেন যুব তৃণমূলের এক কর্মী। গুরুতর জখম অবস্থায় তাপস দাস নামে ওই যুব কর্মীকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির কর্মীরাই মারধর করেছে তাপসকে। হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে তাপস দাবি করেন, ‘‘৪-৫ জন দুষ্কৃতী যারা আগে সিপিএম করত, এখন বিজেপি করে, তারাই অতর্কিতে আমার উপর হামলা করেছে।’’ অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই বোমাবাজির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার মহিষদায় বিজেপির শিক্ষা শিবির ছিল। সেই কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই এলাকা ছিল গরম। তৃণমূলের কেশপুর অঞ্চলের সভাপতি এজাহার আলির অভিযোগ, ‘‘ওই শিবিরের পরেই বিজেপির দুষ্কৃতীরা মহিষদার একটি বুথের যুব তৃণমূল সভাপতি তাপস দাসকে লাঠি দিয়ে মারধর করর। তাঁর পিঠে, ঘাড়ে, হাতে, পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে।’’ পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে কেশপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়।
বিজেপির পাল্টা দাবি, তাদের কর্মসূচিতে আসতে বাধা দেওয়ার জন্য সোমবার সকাল থেকেই এলাকায় বোমাবাজি করছিল তৃণমূল। কেশপুরের বিজেপি নেতা তন্ময় ঘোষের অভিযোগ, ‘‘শিক্ষা শিবির বানচাল করতে তৃণমূল কর্মীরা মদ্যপ অবস্থায় বিভিন্ন স্থানে জমায়েত হয়। বোমাবাজি করে। আমাদের কর্মীরা কোথাও মারধর করেনি।’’ মহিষদা গ্রামের ওই যুব তৃণমূল কর্মীকে তাঁর দলেরই কেউ মারধর করতে পারে বলেও দাবি করেছেন ওই বিজেপি নেতা।
পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষের অভিযোগই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।