চলবে ১০ দিন, চালু জরুরি পরিষেবা
Coronavirus

জেলা সদরে ফের সম্পূর্ণ লকডাউন

বৃহস্পতিবার তমলুক পুরসভা অফিসে শহরের সমস্ত বাজারের ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেন। বৈঠকে ছিলেন তমলুকের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস,  তমলুক থানার ওসি জলেশ্বর তেওয়ারি ও পুরসভার ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটররা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক ও হলদিয়া শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২০ ০২:১৪
Share:

বাড়ছে সংক্রমণ। বুঝবে কে! তমলুকে বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

নতুন করে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। কার্যকর করা হয়েছে লকডাউনও। কিন্তু তাতেও বাগে আসছে করোনা। শেষমেশ জেলা সদর তমলুকে আজ, শুক্রবার থেকে সম্পূর্ণরূপে লকডাউন জারি করল পুরপ্রশাসন। অন্যদিকে, জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর হলদিয়াতেও বেড়ে চলা সংক্রমণে চিন্তিত স্থানীয় প্রশাসন। সেখানেও বন্ধ করা হয়েছে কয়েকটি বাজার।

Advertisement

বৃহস্পতিবার তমলুক পুরসভা অফিসে শহরের সমস্ত বাজারের ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেন। বৈঠকে ছিলেন তমলুকের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস, তমলুক থানার ওসি জলেশ্বর তেওয়ারি ও পুরসভার ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটররা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে শুক্রবার থেকে আগামী ১০ দিন শহর এলাকায় সম্পূর্ণ লকডাউন কার্যকর হবে। লকডাউনে জরুরি পরিষেবা (ওষুধ, গ্যাস) ছাড়া সমস্ত দোকান খোলার উপরে নিয়ম জারি করা হয়েছে। নিয়ম মতো, সোম, বুধ, শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সমস্ত দোকান খোলা যাবে। রবিবার সকাল ৭টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সব দোকান খোলা রাখা যাবে। অন্য সময় সব দোকানপাট (ভূষিমালের দোকানও এর মধ্যে পড়বে) বন্ধ থাকবে। প্রধান রাস্তা দিয়ে দূরপাল্লা এবং জেলার বাসগুলি চললেও শহরের ভিতরের রাস্তায় প্রয়োজন ছাড়া কোনও যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না। লকডাউনে জেলা প্রশাসনিক অফিস, ব্যাঙ্ক এবং ডাকঘর খোলা থাকবে। পুরসভার জরুরি বিভাগ ছাড়া অন্য বিভাগ বন্ধ থাকবে।

তমলুকের পুরপ্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, ‘‘শহরের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই শহর জুড়ে শুক্রবার থেকে ১০ দিনের জন্য ফের সম্পূর্ণ লকডাউন করা হচ্ছে। সপ্তাহের কয়েকদিন দোকানপাট খোলা থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে বাসিন্দারা বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন। তবে তার জন্য উপযুক্ত নথি দেখাতে হবে। এ বিষয়ে পুলিশ-প্রশাসনের নজরদারি চলবে।’’ শহরে ফের লকডাউন কার্যকর করা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘ব্রহ্মা বারোয়ারী বাজার কমিটি’র তরফে বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘নয়া সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছি। তবে লকডাউন যাতে সঠিকভাবে কার্যকরী হয় সে জন্য প্রশাসনের উপযুক্ত পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।’’

Advertisement

অন্যদিকে, হলদিয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় হলদিয়া পুর এলাকায় নতুন করে সাত জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে হুঁশ ফেরছে না পুরবাসীর। আড্ডার মেজাজেই রয়েছেন মানুষজন। পুরসভার মোহনা মার্কেট, মাখন বাবুর বাজার সর্বত্রই মানুষের ভিড় রয়েছে কয়েকদিন ধরে। এক সময় এই মাখনবাবুর বাজারকেই ‘আদর্শ বাজার’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু, যেভাবে ভিড় এবং সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে জরুরি ভিত্তিতে হলদিয়া থানা, স্থানীয় কাউন্সিলর এবং চারটি বাজার কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় আগামী কাল, শনিবার থেকে আগামী শুক্রবার বন্ধ থাকবে মাখনবাবুর বাজার। স্থানীয়দের আবার দাবি, বাজার হেলিপ্যাড ময়দানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক।

মোহনা সুপার মার্কেট কমিটির সম্পাদক অনুপ ভাস্কর বলেন, ‘‘প্রশাসনের নির্দেশ আমরা পালন করব।’’ সম্প্রতি ওই বাজারের এক ব্যবসায়ী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। হলদিয়া থানা জানিয়েছে, এলাকায় জীবাণুনাশক ছড়ানো হয়েছে।

এ দিকে, এ দিন নতুন করে ১৯ জন করোনা আক্রান্তকে ভর্তি করানো হয়েছে বড়মা হাসপাতালে। বর্তমানে বড়মায় চিকিৎসাধীন ১০৭ জন।

উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement