Rupnarayan River Poisoned

নদে বিষ ঢেলে মাছ ‘শিকার’

গত বার নদের জলে বিষ মেশানোর ঘটনায় তিন দিন জল সরবরাহ বন্ধ রাখে পিএইচই। ফের নতুন করে নদের জলে বিষ মেশানোর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোলাঘাট শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:২০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

রূপনারায়ণ নদের জলে বিষ মিশিয়ে মাছ ধরার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বিষের প্রভাবে নদের জলে ভেসে উঠেছে অসংখ্য মৃত মাছ। কোলাঘাট জল প্রকল্পের পানীয় জল নিয়ে আতঙ্কিত এলাকবাসী।

Advertisement

এই প্রথম নয়, চলতি মাসের ৬ তারিখ রাতে কোলাঘাটের ছাতিন্দা জল প্রকল্প এলাকায় রূপনারায়ণ নদের জলে বিষ মিশিয়ে মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয়দের তাড়া খেয়ে সেই সময় দুষ্কৃতীরা দু'টি বাইক ফেলে পালায়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের রূপনারায়ণে বিষ মিশিয়ে মাছ ধরার অভিযোগ সামনে এল। স্থানীয়দের দাবি, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পাইকপাড়ি এলাকায় পাঁচ-ছ'জনের একটি দল নদের জলে বিষ মিশিয়ে প্রচুর মৃত মাছ ধরে ব্যাগে ভরে নিয়ে চলে যায়। এদিন সকালে পাইপাড়ি এলাকায় রূপনারায়ণের জলে অসংখ্য মৃত মাছ ভেসে ওঠে। পাইকপাড়ির অদূরেই ছাতিন্দা জল প্রকল্প এলাকা। সেখান থেকে রূপনারায়ণের জল শোধন করে গোটা কোলাঘাট ব্লকে সরবরাহ করা হয়।

গত বার নদের জলে বিষ মেশানোর ঘটনায় তিন দিন জল সরবরাহ বন্ধ রাখে পিএইচই। ফের নতুন করে নদের জলে বিষ মেশানোর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,"পাইকপাড়ি ইট ভাটার কাছে পাঁচ-ছ'জন রাতে রূপনারায়ণের জলে বিষ মিশিয়ে মাছ ধরছিল। ইটভাটার লোকজন আমাদের সেকথা জানান। আমরা গিয়ে দেখি, নদের জলে অসংখ্য মৃত মাছ ভাসছে। এর আগেও দু'বার এ রকম ঘটেছে। এক বার তো দু'জনকে ধরে আমরা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলাম।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, যে এলাকায় বারবার নদের জলে বিষ মেশানোর অভিযোগ উঠছে সেখান থেকে কোলাঘাট বিট হাউসের দূরত্ব খুবই কম। তাই প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। তমলুকের এসডিপিও সাকিব আহমেদ বলেন,"পিএইচই দফতর আমাদের কোনও লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" তমলুকের পিএইচই-র অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সৈকত যশের কথায়,"বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement