সমবায় নির্বাচনে সিপিএমের সাথে জোট করেছেন তৃণমূল বলে অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।
শ্যামসুন্দরপুর পাটনা সমবায় নির্বাচনে সিপিএমের সাথে জোট করেছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। সে কারণেই সমবায় নির্বাচনে সিপিএম কোনও প্রার্থী দেয়নি। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ এনেছেন মাইশোরায় তৃণমূলের উপপ্রধান। দলের জেলা ও রাজ্য সভাপতির কাছে এই নিয়ে অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি।
মাইশোরার শ্যামসুন্দরপুর পাটনা সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে তৃণমূলের দুই শিবিরের কাজিয়া চলছেই অব্যাহত। মাইশোরার উপপ্রধান স্বপন খাঁড়া বুধবার তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকেও ই-মেল করে অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন স্বপন। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শ্যামসুন্দরপুর পাটনা সমবায়ে যে ৯ জন প্রার্থী দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৫ জন সিপিএম সমর্থক ও দলীয় পদাধিকারী। স্বপনের দাবি, ব্লক সভাপতি সুজিত রায় সিপিএমের সাথে গোপন চুক্তি করেছেন। জিতলে সিপিএম থেকে একজনকে বোর্ড সভাপতি বা সেক্রেটারি করা হবে। সেই কারণে সিপিএম এই সমবায়ে কোনও প্রার্থী দেয়নি।
স্বপন বলেন, ‘‘ব্লক সভাপতি সুজিত রায় তলে তলে সিপিএমের সাথে জোট করেছেন।ওঁর প্রার্থী তালিকায় পাঁচজন সিপিএমের সমর্থক ও পদাধিকারী। ব্লক সভাপতির এই সিদ্ধান্তে দলের নিচুতলার কর্মীদের মনোবল নষ্ট হয়েছে। বিষয়টি দলকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।’’ অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে সিপিএম। সিপিএমের মাইশোরা ব্রাঞ্চ কমিটির সদস্য শেখ আলমগীর হোসেন বলেন, ‘‘যে পাঁচজনকে সিপিএমের প্রার্থী বলা হচ্ছে তাঁরা কেউই আমাদের দলের সাথে যুক্ত নন। তৃণমূলের সাথে জোটের কোনও প্রশ্নই নেই।’’
উল্লেখ্য এই সমবায় নির্বাচনে ব্লক সভাপতি সুজিত রায় এবং নিহত কুরবান শা’র অনুগামীরা উভয়পক্ষই প্রার্থী দিয়েছে। সমস্যার সমাধানে রাজ্য নেতৃত্বের দ্বারস্থ হয়েছিল জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘‘আমি শুক্রবার ওখানে বিবদমান উভয়পক্ষকে নিয়েই বৈঠক করব। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ, ব্লক সভাপতির প্যানেলকেই গুরুত্ব দিতে হবে। সিপিএম সমর্থকদের প্রার্থী করা হয়েছে এরকম কোনও বিষয় আমার জানা নেই।’’