দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নির্দেশে’ মেদিনীপুর শহরের বাড়ি ছেড়ে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র গড়বেতায় একটি ভাড়া বাড়িতে রাত কাটছে গড়বেতা ১-এর বিধায়ক আশিস চক্রবর্তীর। সম্প্রতি মেদিনীপুরে প্রশাসনিক সভায় এসে আশিসকে মমতা বলেছিলেন, ‘‘বিধায়ক হওয়ার পর এলাকায় যাচ্ছিস তো। একটু যাস এলাকার লোকের সঙ্গে যোগাযোগটা ভালো রাখিস।’’
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে গড়বেতা বিধানসভা এলাকায় সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন যাওয়া শুরু করেছেন আশিস। শুধু যাওয়ায় নয় সেখানে রাত্রি বাসও করছেন। গড়বেতা বিধানসভার এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে এলাকার মানুষদের সমস্যার কথা শোনার পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে দলের কর্মীদের ক্ষোভের কথা শুনছেন। রাত্রে পাড়ায় বসে বৈঠক সেরে নিচ্ছেন। ত্রিপল বিছানো আসনে বসে দলের কর্মীদের কাছ থেকে দলের ও এলাকার সমস্যার কথা শুনছেন। আশিস বলেন, ‘‘গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা দীর্ঘদিন ধরেই করছি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আরেকটু বেশি সময় দিতে। তাই বেশি সময় দিচ্ছি এখন। এখানে ২০১৫ সাল থেকে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে রয়েছি। তখন দলের অবজারভার ছিলাম এই এলাকায়। এখন রাত্রি বাস বেশি হচ্ছে। দলের মধ্যে তেমন কোনও সমস্যা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এলাকার কর্মীদের মধ্যে সমস্যা থাকতেই পারে। তা মিটানোর চেষ্টা চলছে। গ্রামের লোকেরা সবাই দিদির সঙ্গে রয়েছে।’’
কর্মীসভা, নবীদিবস ও জনসংযোগ বিজয়া সম্মেলনী-সহ একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন তিনি। সর্বমঙ্গলা মন্দিরে গিয়ে বস্ত্র বিতরণ, কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হচ্ছেন। করোনা পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে মাস্ক, স্যানিটাইজার ও খাদ্য বিলি ও করেছেন। রাস্তাঘাটে সমস্যা লাইট-সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে মানুষের সাথে কথা বলছেন। পঞ্চায়েত সমিতি ব্লক অফিসে বসে সেই সব বিষয়ে সমস্যার সমাধান চেষ্টা চলছে। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের থেকে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে এই বিধানসভা এলাকায়। জল রাস্তা, ড্রেন-কালভার্ট সারানো-সহ বিভিন্ন কাজে জোর দেয়া হবে এই প্রকল্পে। গড়বেতার এককালের ‘দাপুটে নেতা’ সুশান্ত ঘোষ আবার ফিরছেন। সুশান্তকে নিয়ে তেমন আলোচনা না হলেও তপন ঘোষকে নিয়ে মাঝেমধ্যে আলোচনা হচ্ছে বলেও দলীয় সূত্রে খবর।