Keshiari

সমিতির সদস্য ভাঙানোর অভিযোগ নিয়ে ধুন্ধুমার

মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনায় একটি ভিডিয়ো রেকডিং সামনে এসেছে (আনন্দবাজার পত্রিকা সেটির সত্যাসত্য যাচাই করেনি)। সেখানে দেখা যাচ্ছে আকুল হাজরা নামে একজন দাবি করছেন, তৃণমূলের কেশিয়াড়ির এক জেলা পরিষদ সদস্যা ও জেলা পরিষদের এক কর্মাধ্যক্ষের স্বামী তাকে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্যা ঝুমা ধল শীটের সঙ্গে কথা বলতে পাঠিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কেশিয়াড়ি শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২০ ০০:১৯
Share:

প্রতীকী চিত্র

দলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে দলবদলের প্রস্তাব দেওয়ায় এক ব্যক্তিকে বিজেপি সমর্থকেরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতে কেশিয়াড়ির ঘৃতগ্রাম পঞ্চায়েতের ওই ঘটনায় তেতে ওঠে এলাকা। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, দলবদলের প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনায় একটি ভিডিয়ো রেকডিং সামনে এসেছে (আনন্দবাজার পত্রিকা সেটির সত্যাসত্য যাচাই করেনি)। সেখানে দেখা যাচ্ছে আকুল হাজরা নামে একজন দাবি করছেন, তৃণমূলের কেশিয়াড়ির এক জেলা পরিষদ সদস্যা ও জেলা পরিষদের এক কর্মাধ্যক্ষের স্বামী তাকে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্যা ঝুমা ধল শীটের সঙ্গে কথা বলতে পাঠিয়েছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শতাধিক বিজেপি কর্মী-সমর্থক ঝুমার বাড়ির সামনে চলে আসেন। আকুলকে মারধর করে তাঁর ফোন কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির কেশিয়াড়ি উত্তর মণ্ডলের সভাপতি যুগজিৎ পালোইয়ের দাবি, ‘‘আমাদের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে অপহরণের চক্রান্ত করা হয়েছিল। এতে তৃণমূল যুক্ত। তবে যে এসেছিল তাকে মারধর হয়নি।’’ আকুল পেশায় ঠিকাদার। তিনি দলবদলের প্রস্তাব নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে কেশিয়াড়ি থানায় অভিযোগও করেছেন তিনি।

২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছিল বিজেপি। তারপরে ২ বছর পেরিয়ে গেলেও বোর্ড গঠন হয়নি। সেই নিয়ে হাইকোর্টে যায় বিজেপি। কয়েকদিনের মধ্যেই পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন হতে পারে বলে খবর। তার আগে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে তৃণমূল দলবদলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। সোমবারই বাঘাস্তী গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান-সহ বিজেপির চার পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। দল ছেড়ে যাওয়া পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্যও ফের দলে ফিরেছেন বলে দাবি করেছে তৃণমূল।

Advertisement

কেশিয়াড়ি ব্লকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ নতুন নয়। ২০১৮ সালের অগস্টে নছিপুর পঞ্চায়েতের আমিলাসাই বুথের বিজেপির এক সদস্যা ও ওই বছরের ডিসেম্বরে বাঘাস্তি এলাকায় বিজেপির এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে তৃণমূল প্রলোভন দেখিয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে আগের দু’বারের মতো এবারও অভিযোগ মানেনি তৃণমূল। দলের কেশিয়াড়ি ব্লক সভাপতি অশোক রাউত বলেন, ‘‘বিজেপি পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’’ তাঁর দাবি, আকুল ওই গ্রামে জেরক্স করতে গিয়েছিলেন। তখনই তাকে ধরে মারধর করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement