বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে বম্ব স্কোয়াড। নিজস্ব ছবি।
বিস্ফোরণের ৬০ ঘণ্টা পরেও ধোঁয়াশা কাটেনি। পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে এখনও এসে পৌঁছয়নি ফরেন্সিক দল। তা নিয়ে প্রশ্নও উঠছে। সেই আবহেই সোমবার কাঁথি মহকুমারই ভগবানপুর-২ ব্লকের অর্জুননগর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নাড়য়াবিলা গ্রামে পৌঁছল বম্ব স্কোয়াড। কাঁথি শহরে শনিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগের রাতে সেই গ্রামেই বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়ি। ঘটনায় মৃত্যুও হয়েছে তিন জনের। সেই ঘটনাস্থলই খতিয়ে দেখতে এল বম্ব স্কোয়াড।
রবিবার সকালে রাজকুমারের পোড়া বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট বসেছে। গোটা এলাকা দড়ি গিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। এর পর সোমবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ গ্রামে আসে সিআইডির বম্ব স্কোয়াড। ঘটনাস্থলে আরও বিস্ফোরক রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে সঙ্গে পুলিশ কুকুর এনেও এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। বম্ব স্কোয়াডের সদস্যরাও বিস্ফোরকের সন্ধান চালান। তবে আর কোনও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়নি বলেই সূত্রের দাবি। সোমবারই ফরেন্সিক দলের আসার কথা ছিল। কিন্তু জেলা পুলিশ সূত্রের দাবি, সম্ভবত তারা মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে আসবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে বিস্ফোরণের পর অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পুলিশি তৎপরতা চোখে পড়েনি। শনিবার দীর্ঘ সময় ধরে বিস্ফোরণস্থল অরক্ষিত ছিল। পুলিশ প্রহরা ছিল না। তাতে তথ্যপ্রমাণ নষ্টের সম্ভাবনা রয়েছে। ৬০ ঘণ্টা পর তল্লাশিতে আদৌ কিছু মিলবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।