বই হাতে এক অভিভাবক। নিজস্ব চিত্র
বিধির গেরোয় বই ছিল না ঘরে। ফলে লকডাউনের দীর্ঘ ছুটি পেয়েও ঘরে পড়াশোনা হচ্ছিল না প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের। তাদের মুশকিল আসান হয়ে এগিয়ে এল বিদ্যালয়।
বুধবার গড়বেতা ১ ব্লকের আমকোপা অঞ্চলের রেউদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য অভিভাবকদের হাতে চাল, আলু, আয়রন ট্যাবলেটের সঙ্গে তুলে দেওয়া হল বই। বই দেওয়ার আগে ‘বই সযত্নে রাখব’ বলে অভিভাবকদের অঙ্গীকার করতে হল।
গত বছর থেকে রাজ্যের শিক্ষা দফতর প্রাথমিকের পড়ুয়াদের পড়ার ভার কমানোর জন্য নানা নিয়ম চালু করেছিল। তার মধ্যে অন্যতম হল, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের বই বাড়িতে নিয়ে যাওয়া যাবে না। খুদেরা বিদ্যালয়ে এসে বই নিয়ে পড়বে। বাড়ি যাওয়ার আগে বিদ্যালয়েই সেই বই জমা দিয়ে যাবে। এ বার লকডাউনে দীর্ঘদিন বন্ধ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে বাড়িতে বই না থাকায় পড়াশোনায় অসুবিধা হচ্ছিল প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির খুদেদের।
সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই বই বাড়িতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আমকোপার স্কুলটি। এ দিন অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই। সেই বই বাড়িতে যত্ন সহকারে রেখে বিদ্যালয় খুললে নিজ দায়িত্বে ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করেন অভিভাবকেরা।
দুর্গা লোহার, অখিলবন্ধু পাণ্ডে-সহ কয়েকজন অভিভাবকের কথায়, ‘‘এটা খুবই ভাল উদ্যোগ। এ বার যদি ছেলেমেয়েরা বাড়িতে একটু পড়াশোনা করতে পারে!’’ ওই বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার কথা ভেবেই এই ব্যবস্থা করলাম।’’