প্রতীকী ছবি।
পূর্ত দফতরের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। কয়েকদিন আগেই নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, রাস্তা ও সেতু রক্ষণাবেক্ষণের কাজে কোনও গাফিলতি মানা হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর এই কড়া অবস্থানের পরেই নড়েচড়ে বসেছে পূর্ত দফতর। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে রাস্তা ও সেতু মেরামতের কাজে গতি আনতে তৎপর হয়ে উঠেছে পূর্ত বিভাগ। দুর্যোগ কাটলে মাঝপথে থাকা কাজগুলির ক্ষেত্রে আরও গতি বাড়ানো হবে। এর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাস্তার কাজেও নামা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
এই জেলায় পুর ও ব্লক এলাকার বহু রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল হয়ে পড়ার অভিযোগ আছেই। বালি, মোরাম, বোল্ডার সহ অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই বড়বড় গাড়ি যাতায়াতে গ্রামীণ রাস্তা ভেঙে যাওয়ার অভিযোগও নতুন নয়। পথ যন্ত্রণায় নাজেহাল এলাকাবাসীর রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে পথ অবরোধের ঘটনাও ঘটে প্রায়ই। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর কড়া অবস্থানে পুজোর আগে জেলায় বেহাল পথের অবস্থার পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন জেলাবাসী।
পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় এখন বেশ কিছু রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। কেশপুর - চন্দ্রকোনা, কেশপুর-নাড়াজোল, চন্দ্রকোনা রোড-গোয়ালতোড়, ভাদুতলা-লালগড়, সুলতাননগর-গোপীগঞ্জ, হুমগড় - আমলাশুলি সহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাস্তার কাজে আরও গতি আনা হচ্ছে। সবংয়ের তেমাথানি থেকে পটাশপুর পর্যন্ত যে রাস্তার কাজ চলছে তার উপর ৩ টি সেতু রয়েছে। সেতু-সহ সেই রাস্তার কাজ যাতে দ্রুত শেষ করা যায় সে জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে। গড়বেতার ধাদিকায় শিলাবতী সেতু মেরামতের কাজ প্রায় শেষ। কয়েকদিনের মধ্যেই যানবাহন চলাচলের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হবে বলে গড়বেতার বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী জানান। ডেবরার লোয়াদা ও দাসপুরের যশাড় সেতুর কাজও চলছে।
জেলার পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘অন গোয়িং রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। নিম্নচাপের দুর্যোগ কাটলে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি রাস্তার কাজে হাত দেওয়া হবে।’’ গড়বেতা থেকে রসকুণ্ডু পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতের জন্য ইতিমধ্যে ৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে, ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে দাসপুর থেকে রাজনগর পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তার জন্য। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলেই এই রাস্তাগুলির কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
জেলাপরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘এখন জেলায় বেশকিছু রাস্তার কাজ চলছে, কিছু রাস্তার কাজ শুরু হবে, রাস্তার উপর সেতুর কাজও চলছে। এইসব কাজে গতি বাড়িয়ে পুজোর আগেই জেলার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির মেরামতের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা আছে।’’