ফাইল চিত্র
একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সমাজমাধ্যমে বেশি সক্রিয় হওয়ায়। অন্য একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, যতটা প্রয়োজন তিনি ঠিক ততটা সক্রিয় নন।
প্রথমজন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল। দ্বিতীয়জন ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌর। অভিযোগকারী আর কেউ নন। স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সব জেলার জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে ভিডিয়ো-বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতি নিয়েই বৈঠক। প্রশাসন সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই রশ্মি কমলের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ফেসবুক বেশি হচ্ছে। তাঁকে ফেসবুকে বেশি সক্রিয় না হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। প্রশাসনের ওই সূত্রই জানাচ্ছে, ওই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চান, নাকা চেকিংয়ের কাজ কেমন হচ্ছে। পুলিশ সুপার জানান, জেলার আন্ত রাজ্য সীমানায় ৮টি জায়গায় পুলিশ সর্বক্ষণ নজরদারি চালাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এ ক্ষেত্রে পরামর্শ দেন, বিষয়টি আরও গুরুত্ব সহকারে, সক্রিয় হয়ে দেখতে হবে। রশ্মি কমল বা অমিত কেউই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, জেলাশাসক ব্যক্তিগত ফেসবুক বেশি করেন না। তবে জেলা প্রশাসনের যে ফেসবুক পেজ রয়েছে, সেখানে নিয়মিত ‘আপডেট’ দেন। সম্ভবত বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অন্যভাবে পৌঁছেছে। আবার ঝাড়গ্রামের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছনো অভিযোগ হল—কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা নাকা তল্লাশির সময় অনেক ক্ষেত্রে ফাঁকি দেন। ঝাড়গ্রাম জেলায় ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সীমানায় ৮টি জায়গায় প্রশাসন-পুলিশের উদ্যোগে নাকা চেকিং পয়েন্ট করা হয়েছে। সেখানে ভিন রাজ্য থেকে আসা লোকজনকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। কারও জ্বর সর্দির উপসর্গ রয়েছে কি-না সেটা দেখাটাই এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের সেই উদ্যোগে ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতেই তিনি তাঁকে আরও সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন।