ছত্রধর মাহাতো। —ফাইল চিত্র
তিনি অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি। তাই ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজিরার নির্দেশ পালনের জন্য আবেদন জানালেন জনগণের কমিটির ‘অসুস্থ’ নেতা ছত্রধর মাহাতো। আইনজীবীর মাধ্যমে ঘাটশিলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই আবেদন করেছেন ছত্রধর।
হাইকোর্ট আগেই ইউএপি মামলায় ছত্রধরের সাজার মেয়াদ কমিয়েছে। তাই জেলবন্দি থাকার মেয়াদ ফুরোতে চলেছে তাঁর। অন্যান্য মামলা গুলিতেও জামিন পেয়ে গিয়েছেন ছত্রধর। তবে ২০০৯ সালে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের চাকুলিয়া থানায় দায়ের হওয়া একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় এখনও ছত্রধর জামিন পাননি। সম্প্রতি ওই মামলায় ছত্রধরকে ঘাটশিলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ জারি হয়েছে। ছত্রধরের আইনজীবী কৌশিক সিংহ বলেন, ‘‘ছত্রধর অসুস্থতার জন্য এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শারীরিক কারণে তাঁর পক্ষে ঘাটশিলায় গিয়ে হাজিরা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেই কারণে ভিডিয়ো কনফারেন্সে হাজিরার জন্য ঘাটশিলা আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। তবে ঘাটশিলা আদালতের কোনও নির্দেশ এখনও আমাদের হাতে আসেনি।’’
ছত্রধরের জেল-মুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হতে জঙ্গলমহলের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। এক সময় ছত্রধরের ছায়াসঙ্গী লালগড় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শ্যামল মাহাতো আগেই জানিয়েছিলেন, ছত্রধর ফিরলে তৃণমূলের রাশ ধরুন, এমন চাইছেন তাঁরা। দিন কয়েক দিন আগে ঝাড়গ্রামে এক জনসভায় ছত্রধরের জেল-মুক্তির প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাত নিয়েছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ ছিল, জঙ্গলমহলে নতুন করে অশান্তি ছড়ানোর জন্য ছত্রধরকে মাঠে নামানো হচ্ছে।