জোড় করে রং দেওয়ার অভিযোগ শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে। প্রতীকী চিত্র।
দোলের দিন এক তরুণীকে জোর করে রঙ মাখানো অভিযোগ উঠল বগুলার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে তিনি স্থানীয় যুবকদের হুমকি দেন ও তৃনমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্যকে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে এলাকায় তৃণমূলের অন্দরেই বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে এসে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর অনুগামীরা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব।
বেশ কয়েক বছর ধরেই বগুলা হাসপাতালে কাছে একটি আমবাগানে বসন্ত উৎসব পালন করে আসছে স্থানীয় একটি ক্লাব। মঙ্গলবার সেই বসন্ত উৎসবে হাজির হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূলের বগুলা-২ অঞ্চল সভাপতি পলাশ বিশ্বাসের ছেলে সাগর বিশ্বাস। তিনি আবার বগুলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী। অভিযোগ, উৎসব চলাকালীন সাগর এক তরুণীকে জোর করে রঙ মাখান। ওই তরুণী প্রতিবাদ করায় সাগর উগ্রমূর্তি ধারণ করে তাঁকে মারতে যান বলেও অভিযোগ। স্থানীয় কিছু যুবক ও উৎসবের আয়োজকেরা ঘটনার প্রতিবাদ করায় সাগর তাঁদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করে এবং নানা ভাবে হুমকি দিতে থাকেন বলে অভিযোগ।
পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকলে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের সুশান্ত বালা। তাঁর সঙ্গেও সাগর দুর্ব্যবহার করেন, গালিগালাজ ও হুমকি দেন বলে অভিযোগ। সুশান্ত বালার অভিযোগ, “সাগর এক তরুণীকে জোর করে রঙ মাখায় এবং তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। আমি পরিস্থিতি সামালাতে গেলে আমাকেও অপমান করে। হুমকি দেয়। মারতে আসে।’’ তিনি বলেন, এমন চলতে পারে না। সে যে দলেরই হোক আর যতবড় নেতাই হোক না কেন।” ঘটনার সময় সাগর মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাগর। তাঁর কথায়, “ভুল করে আমার এক প্রতিবেশী ভেবে ওই মেয়েটিকে রঙ মাখিয়েছিলাম। পরে ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছি। এর বাইরে কিছুই হয়নি। কিছু লোক চক্রান্ত করে বিষয়টাকে বড় করে দেখাতে চাইছে।” আর সাগরের বাবা পলাশ বিশ্বাস বলছেন, “একটা ভুল থেকে গোটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আমাদের মধ্যে আর কোনও সমস্যা নেই। সবটা মিটে গিয়েছে।”