প্রতীকী ছবি।
সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্ষীরাই গ্রামের জোড়াবাঁধ এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় মোট ৭ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি। তাঁদের মধ্যে ৩ জন মহিলা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে সিপিএম ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে গোলমাল বাধে। সিপিএমের অভিযোগ, ২ এপ্রিল দলীয় সমাবেশ রয়েছে পিংলার মুন্ডুমারি এলাকায়। তার জন্য জোড়াবাঁধ এলাকায় দলীয় পতাকা লাগাতে যান বাম সমর্থকেরা। সেই সময় আচমকা তৃণমূল সমর্থকেরা লাঠি দিয়ে তাঁদের উপর আক্রমণ চালান। মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। সিপিএমের দাবি, ওই ঘটনায় ৩ জন মহিলা-সহ চার জন আহত হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে পিংলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে চার জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদেরকে রাতেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পিংলা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তৃণমূলের তরফে হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। শাসকদলের দাবি, সিপিএমের লোকেরাই হামলা চালিয়েছেন। এ ব্যাপারে পিংলা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শেখ সাবেরতি বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। মহিলাদের নিয়ে নাটক করছে সিপিএম। তৃণমূলের মিছিল চলাকালীন ওরাই (সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা) প্রথমে হামলা চালায়।’’ তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনায় তৃণমূলের ৩ কর্মী আহত হয়েছেন।
দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়গপুর) রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘একটা গন্ডগোল হয়েছে। দু’পক্ষ অভিযোগ জানিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’